পিঙ্কি পালঃ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণাঃ পূর্ণিমার ভরাকটালের সাথে বৃষ্টির জেরে সুন্দরবন ও উপকূল এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। নদী-সমুদ্রে জলস্ফীতির কারণে এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে গিয়েছে। আবার জলস্ফীতির জেরে কিছু জায়গায় বাঁধ উপচে জল ঢুকে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
সাগরদ্বীপের বঙ্কিমনগর এক নম্বর কলোনীর কাছে প্রায় ২০০ মিটার নদী বাঁধ নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। মহিষমারি এলাকাতেও নদী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বোটখালি এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ উপচে এলাকায় নোনা জল ঢুকে পড়েছে।
এর মধ্যেই গতকাল বঙ্গোপসাগরে জলস্ফীতির জেরে নামখানা ব্লকের ফ্রেজারগঞ্জের হাতিকর্নার এবং দাসকর্নার এলাকার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়৷ ঈশ্বরীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে যে মাটির বাঁধ রয়েছে তাতে ফাটল দেখা দেওয়ায় সেখান থেকে জোয়ারের সময় এলাকা জুড়ে জল ঢুকে পড়েছে।
আপাতত কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘প্রতি কটালেই নদী-সমুদ্রে জলস্ফীতি দেখা দেয়। এক-দুই জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁধ উপচে জল ঢোকায় সেচ দপ্তর দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে।’’
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপর নজর ছিল। বড়োসড়ো কোনো ক্ষতি হয়নি। যেখানে যেখানে বাঁধ ধসেছে সেখানে মেরামতির কাজ চলছে। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। মৌসুনি, ঘোড়ামারাদ্বীপ ও ভাঙন কবলিত এলাকাতেও অতিরিক্ত নজর রাখা হচ্ছে।’’