জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব এবার এসে পড়েছে দৈনন্দিন বাজারে

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ একদিকে যেমন জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনই পাল্লা দিয়ে ফল-মূল, শাক-সব্জি সহ মাছ-মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘শিয়ালদহ কোলে মার্কেট ভেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ সভাপতি তথা আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে গঠিত রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘গত দু’সপ্তাহে প্রায় বারো বার ডিজেল-পেট্রোলের দাম বেড়েছে। সেই কারণে গ্রামাঞ্চল থেকে আনাজ গাড়িতে করে শহরে আনার খরচও অনেকটা বেড়ে গেছে।


একদিকে চাষীরা তাদের ফল ও আনাজের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অন্য দিকে পরিবহণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরো বাজারেও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। আর করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকে লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কামরায় আনাজ পরিবহণের অনুমতি না পাওয়ায় গাড়িতে করে ফল এবং আনাজ আনতে অনেক বেশী টাকা খরচ হচ্ছে।’’

শহরের বিভিন্ন বাজারে আলু, পেঁয়াজ, ঝিঙে, পটল থেকে শুরু করে বেগুন, কাঁচালঙ্কা, ক্যাপসিকাম কোনো আনাজেরই দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বর্তমানে খুচরো বাজারে প্রতি কেজি জ্যোতি আলুর দাম ২০ টাকা। চন্দ্রমুখী আলুর দাম ২৫ টাকা। একই ভাবে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থেকে ৪৫ টাকা। প্রতি কেজি ঝিঙে, পটল, বেগুনের দাম ৫০ টাকা।


‘ফোরাম অব ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের’ সভাপতি তথা আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের আরেক সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘‘এখন সমস্ত আনাজের দামই স্বাভাবিকের তুলনায় প্রতি কেজিতে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বেশী।’’ আর এই আনাজের দাম বৃদ্ধির পিছনে জ্বালানীর বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধি দায়ী।


এছাড়া রমজান মাস থাকায় ফলের দামও তুলনামূলক অনেকটাই বেশী। যে শসা অন্য সময় প্রতি কেজি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয় এখন সেটাই ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা। আঙুর, আপেল, খেজুর, বেদানা, আনারস, নাশপাতি সব কিছুরই দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে ফল কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।  

তাছাড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে মাছের দামও বেশ বেড়েছে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ‘‘জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি সমুদ্রে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় পর্যাপ্ত সামুদ্রিক মাছ আসছে না। আবার ভিন্ রাজ্য থেকে মাছ এলেও গরমে সেই মাছের একাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে প্রতি কেজিতে মাছের দাম প্রতি কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়েছে।’’

তেমনই মুরগির মাংসও ২১০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একজন মুরগী ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘‘পোলট্রির মুরগী চাষে খরচ বেড়েছে। ওই মুরগীরা ভুট্টা ও সয়াবিন ছাড়াও এক রকমের তেল খেয়ে বংশবৃদ্ধি করে। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় পোলট্রি চাষীরাও নাজেহাল হয়ে পড়েছেন।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031