ব্যুরো নিউজঃ আমেরিকাঃ বরাবরই কুকুররা ঘ্রাণ দিয়ে বোমা, মাদক সহ অপরাধীদের চিনে আসছে। আবার এই ঘ্রাণের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, নির্দিষ্ট ধরণের ক্যানসার ও এমনকি পারকিনসন্স রোগও চিহ্নিত করে। কুকুরের কোনো জিনিস শুঁকে চিহ্নিত করার এই প্রক্রিয়াকে বায়োডিটেকশন বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কোনো পরীক্ষা বা রাসায়নিক জড়িত থাকে না।
২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা কুকুরদের সার্স-কোভ-২ ভাইরাস শুঁকতে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন।
আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, ‘‘কুকুর অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘ্রাণশক্তির জন্য পরিচিত। যখন কেউ অসুস্থ হয় তখন মানবদেহ নির্দিষ্ট উদ্বায়ী জৈব যৌগ নির্গত করে। যা গ্যাস হিসাবে নির্গত হয়। আর প্রতিটি সংক্রমণে একটি নির্দিষ্ট গন্ধ থাকে’’।
অর্থাৎ যাদের শরীর থেকে কোভিড সংক্রামিত হওয়ার পরে নির্দিষ্ট উদ্বায়ী জৈব যৌগ নির্গত হয় তাদের শরীর থেকে একটি স্বতন্ত্র গন্ধ বের হয়। এই বিশেষ গন্ধটি বায়োডিটেকশনের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যেতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
প্রথম লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ফিনল্যান্ডে এই প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা শুরু হয়। এক্ষেত্রে কুকুররা ফিনল্যান্ড এবং লেবাননে পরিচালিত পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রে করোনা পজিটিভদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এদিকে যেমন আমেরিকার মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই প্রক্রিয়ায় ৯৮ শতাংশ সফলতা আসে। তেমন অন্যদিকে দুবাইয়ের পুলিশ ৩৮ টি স্নিফার কুকুরের একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করেছে যা ঘামের নমুনা থেকে করোনা শনাক্ত করতে ৯২ শতাংশ নির্ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।