নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে রক্তাক্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পার্থপ্রতীম রায় ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে নাটাবাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ বছর বয়সী ওসমান গনি নামে এক ব্যক্তির। আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন।
গতকাল নাটাবাড়ির দেওচড়াই গ্রামে পার্থপ্রতীম রায়ের অনুগামীদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সংঘর্ষ শুরু হয়। বাচিরন বেওয়া নামে এক তৃণমূল নেত্রীর ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরী হয়।
সংঘর্ষে আহত অন্তত ২৫ জনকে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতির জন্য কয়েকজনকে কোচবিহার MJN হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আক্রান্তরা জানিয়েছেন, “প্রথমে দেওচড়াই গ্রামের কৃষ্ণপুর গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হয়। লাঠি, হাঁসুয়া সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হয়। ওই গ্রামে একটি বাজার রয়েছে। এদিন সকালে যারা বাজারে গিয়েছিলেন তাদের ওপরে আক্রমণ করা হয়”। তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করলেও মুখে কুলুপ এঁটেছে।
স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি জানিয়েছেন, “অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করব শান্তি বজায় রাখুন। অল্প ছোটো কোনো ঘটনায় প্ররোচিত হবেন না। এই সংঘর্ষ কি কারণে তা খতিয়ে দেখা হবে। দলের অন্দরে এই ধরণের সংঘর্ষ বরদাস্ত করা হবে না। কে বা কারা এই সংঘর্ষে জড়িত তা খুঁজে বার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে”।
অবশ্য ইতিমধ্যে পুলিশ এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে উভয় পক্ষের মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যদিও এই গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সমগ্র এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।