কাটমানি না দেওয়ায় দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন ১ যুবক
স্নেহাশীষ মুখার্জিঃ নদীয়াঃ সরকারের বরাদ্দ ঘরের জন্য কাটমানি বাবদ ২০ হাজার টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কিছু দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম হরিদাস রাজবংশী। ফুলিয়াপাড়া এলাকাতেই বাড়ি। হরিদাস অভিযোগ করেছেন, “রাত সাতটা নাগাদ আমি বাড়িতেই ছিলাম। সেই সময় সদানন্দ নামে এক যুবক আমাকে বাড়ি থেকে ডাকে। এরপর আম বাগানে নিয়ে গিয়ে বলে, তোর জন্য সরকারী ঘর বরাদ্দ হয়েছে। তোকে কুড়ি হাজার টাকা দিতে হবে। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে ওরা মারধোর করে। রিভলবার দেখিয়ে খুনের হুমকি দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় ওইখানেই পড়ে যাই। ঘরের জন্য কাটমানি দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে এইভাবে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে আমি রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি”।
হরিদাসের মা জয় ধ্বনি রাজবংশী জানালেন, “আমরাও দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করি। কিন্তু আমার ছেলেকে মারলো কিভাবে এটাই বুঝে উঠতে পারছিনা! শান্তিপুর থানায় পাঁচ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে”।
হরিদাসের পিতা নিতাই রাজবংশী বলেছেন “সরকারী ঘর পেতেও টাকা লাগবে! তাও আবার মারধর করে? দোষীর শাস্তি চাই”।
হরিদাসের বৌদি সুন্দরী রাজবংশী জানিয়েছেন, “পঞ্চায়েত সদস্যের ইন্ধনেই এই জুলুম করা হয়েছে”।
যদিও এই বিষয়ে পঞ্চায়েত সদস্য স্বপ্না বসাকের স্বামী দিলীপ বসাক দাবী করে বলেছেন, “ওরাও তৃণমূল করে। আমাদের সাথে অত্যন্ত সুসম্পর্ক। আমরাই ওদের ঘরের লিস্ট করি। আমার মনে হয় তৃণমূলকে বদনাম করতে বিজেপি সুপরিকল্পিতভাবে ওই যুবকদের ভুল পথে পরিচালনা করেছে। আমরা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের সাথে কথা বলে ওদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে কথা বলছি”।