মাঠ ভর্তি ছড়িয়ে রয়েছে হীরে

Share

ব্যুরো নিউজঃ দক্ষিণ আফ্রিকাঃ কি শুনেই চমকে যাচ্ছেন তো? হ্যাঁ চমকে যাওয়ার মতোই অবিশ্বাসযোগ্য ঘটনা। কিন্তু ঘটনাটি অবিশ্বাসযোগ্য হলেও সম্পূর্ণ সত্যি ঘটনা। মাঠে সামান্য খোঁড়াখুঁড়ি করতেই মাঠের ভিতর থেকে একের পর হীরা উঠে আসছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের কোয়াহ্লাথি গ্রামের ঘটনাটি ঘটেছে।

অতি সম্প্রতি মেন্ডো সাবেলো নামে গ্রামেরই একজন পশুপালক প্রথম ওই মাঠে পশু চড়াতে গিয়ে হীরা পেয়েছিলেন। মেন্ডোর কাছ থেকে খবর পেয়ে মাঠে ক্রমাগত হীরা খননকারীদের ভিড় বেড়েই চলেছে।


২৭ বছর বয়সী দুই সন্তানের পিতা মেন্ডো জানান, “তাদের কোনো বাধা ধরা কাজ নেই। জীবন ধারণের জন্য টুকটাক যা কাজ পান তাই করেন। কিন্তু ওই হীরা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর পরিবার খুশিতে মেতে উঠেছে”।


গ্রামের আরেক বাসিন্দা স্খুম্বুজো এমবেলে বলেন, “এর আগে তিনি কখনো হীরা দেখেননি বা ছোঁয়ারও সুযোগ হয়নি”।


যদি আগে গ্রামবাসীরা হীরা না দেখে থাকে তবে ওই পাথরগুলি যে হীরা তা কীভাবে জানলো? এই প্রশ্নের উত্তরে দক্ষিণ আফ্রিকার খনি বিভাগ জানিয়েছে, “ওইগুলি হীরা কিনা তাদের কাছে এই বিষয়ে কোনোরকম নিশ্চয়তা নেই। দ্রুত কয়েকজন ভূতাত্ত্বিক ও খনিজ বিশেষজ্ঞদের ওই স্থানে নমুনা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করার জন্য পাঠানো হবে। অবশ্য প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে যে, সাধারণ স্ফটিক পাথরকেই গ্রামবাসীরা হীরা ভেবে ভুল করছেন”।

অবশ্য কোনো প্রমাণ হাতে আসার আগেই ১০০ র‍্যান্ড থেকে ৩০০ র‌্যান্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকার বিনিময়ে ওই পাথরগুলি বিক্রি হতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যেমন একদিকে বেকারত্ব বাড়ছে তেমনই লক্ষ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নীচে পৌঁছে গেছেন। এর উপর করোনা মহামারীর প্রভাবে পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। এই অবস্থায় নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে বাচ্চা থেকে বয়স্ক প্রত্যেকেই ওই স্থানে বেলচা, কোদাল অথবা হাতের কাছে যে যা পাচ্ছে তাই দিয়ে মাটি খুঁড়ে চলেছে।

হীরার খবর পেয়ে গোটা দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে অগণিত মানুষ হীরার সন্ধানে ছুটে এসে গ্রামবাসীদের সাথে খননকার্যে হাত লাগিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, একসাথে বিপুল মানুষের জমায়েতের ফলে করোনা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031