Indian Prime Time
True News only ....

সাঁইবাড়ি ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

- Sponsored -

- Sponsored -

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বর্ধমানঃ ফের ফিরে এল সাঁইবাড়ির ঘটনা। এই মুহুর্তে নেট দুনিয়ায় সাঁইবাড়ির ঘটনা ও পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের ১২ ই জুন বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার আহ্লাদিপুরে সিপিএমের চার জনকে খুনের ঘটনায় সাঁইবাড়ির বড়ো ছেলে নবকুমার সাঁইকে গুণ্ডা বলে অভিহিত করা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে।

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ১৭ ই মার্চ সাত সকালে সিপিএমের সশস্ত্র সমর্থকরা বর্ধমানের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনের সেই সাঁইবাড়িতে হামলা চালায়। সিপিএম সমর্থকদের হাতে সাঁইবাড়ির দুই ছেলে মলয় সাঁই, প্রণব সাঁই এবং গৃহশিক্ষক জিতেন রায় খুন হন। সেই সময় এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে আলোড়ন শুরু হয়। পরবর্তীকালে কলকাতার আলিপুর কোর্টে ১৯৭৮ সালের ৬ ই মার্চ তৎকালীন এডিশনাল সেশন জজ (৩য় কোর্ট) আর কে.কর সমস্ত অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেন। এতোবড়ো নারকীয় ঘটনা ঘটলেও এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে নিরুপম সেন ওরফে খোকন সেন, আব্দার রসিদ, অনিল বোস, অশ্বিনী হাজরা, সুবোধ চৌধুরী, অমল হালদার, সুশীল ভট্টাচার্য, রামনারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ প্রায় ৭০ জনের নাম থাকলেও কেউ কোনো সাজা পায়নি।

ফলে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড নিয়ে খোদ সাঁইবাড়ির সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। যা আজও অব্যাহত। ইতিমধ্যে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসেন। আর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশন গড়ে তোলেন। কিন্তু আজও সেই কমিশনের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। এদিকে প্রতিবারই ভোটের সময় কংগ্রেস এবং সিপিএম জোটের সমীকরণে এই সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড সামনে আসে।

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored -

সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম জোটের ভরাডুবি হয়েছে। এর ফলে ফের এই ঘটনা সামনে এসেছে। এই ব্যাপারে এই ঘটনাকে সিপিএমের যুবনেত্রী তথা নন্দীগ্রামে সিপিএমের প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সামনে এনেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে আহ্লাদিপুরের ঘটনায় সাঁইবাড়ির বড়ো ছেলে নবকুমার সাঁইকে গুণ্ডা বলেও অভিহিত করেছেন। এরপরেই পোষ্ট, পাল্টা পোষ্টে নেট দুনিয়া ছড়াছড়ি। চরম বিতর্কও উঠেছে।

সাঁইবাড়ির বর্তমান পুত্রবধূ তথা বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার উমা সাঁই জানান, “তার ভাসুর নবকুমার সাঁই নামী আইনজীবী ছিলেন। তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। এখন সেই কংগ্রেস সিপিএমের জোট করেছে। আজ কংগ্রেসের বলার কিছু নেই। পাল্টা তিনি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে কড়া সমালোচনা করে জানালেন, কে এই মীনাক্ষী? তিনি কোথায় ছিলেন? তার বয়স কত? সেই সময় তিনি কি ছিলেন? কে কোথায় একটা বেদি করে কি লিখে রাখল সেটাই বিশ্বাস করতে হবে?

সাঁইবাড়ির ছেলে উদয় সাঁই এই ঘটনা নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন। উদয় সাঁই জনিয়েছেন, “যারা বাড়িতে ঢুকে এরকম হত্যালীলা করেছেন তারা কতবড়ো গুণ্ডা? আগে এর জবাব দিক। সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষী তার দাদা আইনজীবী নবকুমার সাঁই ছিলেন। তাই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। সমস্ত নথিপত্র লোপাট করা হয়েছে”।

সাঁই বাড়ির বর্তমান ছেলে বিজয় সাঁই জানিয়ে দিয়েছেন, “সিপিএম আসল গুণ্ডা। তারাই গুণ্ডাগিরি শুরু করেছিল। ১৯৭১ সালের ১২ ই জুন যখন তার দাদা আদালত থেকে ফিরছিলেন সেই সময় তাকে আহ্লাদিপুরে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানেই খুন করা হয়। আর এখন কংগ্রেস তরমুজ কংগ্রেস”।

- Sponsored -

- Sponsored -

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

- Sponsored -

- Sponsored -

- Sponsored