নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শান্তিনিকেতনঃ করোনা পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ আছে। তাই দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা আদিবাসী মানুষজন অর্থাভাবের জন্য ছোটো থেকেই শিশুশ্রমের উপর জোর দেয়। আর এই শিশুশ্রমের প্রবণতার চিন্তা থেকে বীরভূমের শান্তিনিকেতনের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী পানু মার্ডি খুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অস্থায়ী বিদ্যালয় খুলল।
পানু বনের পুকুরডাঙা আদিবাসী এলাকায় ৩৫ জন ছোটো শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া শেখাচ্ছে। এর পাশাপাশি সপ্তাহের কয়েকটা দিন নির্দিষ্ট সময়ে এই বিদ্যালয়ে আসতে হয়। এছাড়া এখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করে পড়াশোনা করা হয়।
পানু জানিয়েছেন, “শহরে, মফঃসলে বিদ্যালয়ে বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা ফোনের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস করতে পারে। কিন্তু আদিবাসী এলাকার মানুষের অর্থাভাবের জন্য ফোন কেনার সামর্থ্য নেই তাই দিনের পর দিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়াশোনা ছেড়ে কাজ করা এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ছোটো বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার প্রবৃত্তিও দেখা দিতে পারে। ফলে সেটা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে লকডাউন থাকলেও পড়াশোনার অভ্যাস চলে না যায়”।
পানুর উদ্যোগে শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা খুব খুশী। এমনকি পানুর এই মানবিক উদ্যোগকে রাজ্যের শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক প্রচুর প্রশংসা করেছেন।