নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ করোনার দাপটে নাকাল গোটা ভারত। কিন্তু ভারতের মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে বেলাগাম পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতেই উত্তরপ্রদেশে রাজধানী লখনউ থেকে বারাণসী সব জায়গাতেই একই ভয়ানক দৃশ্য।
হাসপাতালগুলি বেড ও অক্সিজেনের অভাবের ফলে রোগীদের জায়গা দিতে পারছে না। ফলে দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। এমনকি হাসপাতালের বাইরে থেকেই রোগীরা মৃত্যুর কোলে নিমজ্জিত হচ্ছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereসূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে লখনউর ডালিগঞ্জের কবর খননকারী বাবু নামের ১ জন ব্যক্তির বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃতদেহ সমাধিস্থ করতেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereডালিগঞ্জ কবরস্থানের অধিকর্তা উসমান জানান, “প্রতিদিন সাধারণত বাবু ১ টি করেই কবর খননের কাজ করত। করোনা আবহে প্রচুর মানুষ মারা যাওয়ায় প্রতিদিন বাবুকে ছ’টি করে কবর খননের কাজ করতে হত। হাসপাতাল থেকে কোনো মৃতদেহ এলে তা প্লাস্টিকে মোড়া থাকত তবে বাড়ি থেকে যে মৃতদেহ আসত সেগুলি প্লাস্টিক দিয়ে মোড়া থাকত না। এর ফলে বোঝাও যেত না যে সেই ব্যক্তিদের করোনা ছিল কিনা। এই রকমই সংক্রমিত কোনো মৃতদেহ তার দেহে সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া বাবু সঠিক সময়ে চিকিত্সা পায়নি সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে”।
অপরদিকে ৬১ বছর বয়সী নির্মল বাবুর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নির্মল বাবুর পরিবারের সদস্যরা তাকে এলাকার স্থানীয় একটি কোভিড কেন্দ্র থেকে রোগীকে কেরিয়ার মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্মল বাবুকে ভর্তি করেননি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বারবার সিএমও-র রেফারাল চিঠি চাওয়া হয়। কিন্তু নির্মল বাবুর পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করেও লাভ হয়নি। তার ফলে অসুস্থ অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ সময় পার হয়ে যাওয়ায় নির্মল বাবু অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যান ওই করোনা রোগী। যার জেরে হাসপাতালের বাইরেই নির্মলবাবুর পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে-দুঃখে ফেটে পড়েন।