নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অন্ধ্রপ্রদেশঃ ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। তাই নিজের ইচ্ছাশক্তির প্রকাশ ঘটাতে বয়স কখনোই বাধা হয়ে উঠতে পারে না। তাই তো এখন খুদেরাও হয়ে উঠছে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী।
আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ তাঞ্জানিয়াতে অবস্থিত মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো। আর এবার গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ৯ বছরের কাদাপালা ঋত্বিকা শ্রী এই শৃঙ্গকেই জয় করে ফেলল। সে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ হাজার ৬৮১ মিটার উঁচুতে গিলমান’স পয়েন্ট জয় করে প্রথম সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে এই রেকর্ড গড়েছে। তার সঙ্গে তার বাবা ও একজন গাইড ছিলেন।
সূত্রের খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, ঋত্বিকার বাবা কাদাপালা শঙ্কর একজন ক্রিকেট কোচ। এছাড়া তিনি অনন্তপুর রুরাল ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্টের স্পেশ্যাল অলিম্পিকস ভারত উইংয়ের স্পোর্টস কো-অর্ডিনেটরও। গত বছর তিনি স্বয়ং মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করেছিলেন। আর এই বছর তিনি নিজের মেয়েকে নিয়ে গিয়েছেন।
মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো প্রকৃতপক্ষে একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। ১৯ হাজার ৩৪০ ফুট উঁচু এই পাহাড় বিশ্বের সর্বোচ্চ একক পাহাড়। এই পাহাড়ের তিনটি সামিটের মধ্যে একটি হলো গিলমান’স পয়েন্ট। যেসব পর্বতারোহী এই পয়েন্টে পৌঁছতে পারেন তাঁদের সরকারী ভাবে কিলিমাঞ্জারো জয়ের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ঋত্বিকাও সেই সার্টিফিকেটই পেয়েছে।
ঋত্বিকা মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করার আগে তেলেঙ্গানার একটি রক ক্লাইম্বিং স্কুল থেকে লেবেল ১ ও লেবেল ২ ট্রেনিং করে। এরপরেই কিলিমাঞ্জারো জয় করতে উদ্যোগী হয়। এই প্রসঙ্গে ঋত্বিকার বাবা বলেছেন, “সম্পূর্ণ এনার্জি নিয়েই নিজের প্রথম চেষ্টায় মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করেছে ঋত্বিকা”।
আইএএস অফিসার গন্ধম চান্দ্রুদু এই ঘটনায় ঋত্বিকার প্রশংসা করেছেন। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, “অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তুমি নিজের সুযোগকে কাজে লাগিয়েছ। এভাবেই সবাইকে অনুপ্রেরণা দিতে থাক”। প্রসঙ্গত বলা যায়, গন্ধম চান্দ্রুদু ঋত্বিকার এই পর্বতারোহণে ২ লাখ ৮৯ হাজার টাকার সাহায্য করেছিলেন।