নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঝাড়গ্রামঃ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বার্ড ফ্লু দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এবার এই রাজ্যেও ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে গবাদিপশুরাও মারা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝাড়গ্রাম পুরসভা এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শক্তিনগর এলাকায় অজানা ভাইরাসের সংক্রমণে তিনটি বাছুরের মৃত্যু হয়েছে। কিছুদিন ধরেই তারা খুঁড়িয়ে হাঁটছিল, খাবারের প্রতি অনীহা ছিল, মুখে ফ্যানাও উঠছিল। শরীরের মধ্যে অস্বস্তি থাকায় বাছুরগুলো চিত্কারও করছিল। এরপরই বাছুরগুলির মৃত্যু হয়।
এলাকার তিন বাসিন্দা শেফালি বেরা, পরিমল রায় ও সুজিত গরাইয়ের বাড়িতে পরপর একই ঘটনা ঘটতে দেখে পাড়া-পড়শীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের দাবী, তিনটি বাছুরের ক্ষেত্রে একই উপসর্গ দেখা গিয়েছিল।
তবে ঘটনাটির খবর পেয়ে বিষয়টি সরেজিমনে খতিয়ে দেখতে প্রাণী সম্পদ দপ্তরের চিকিত্সকরা ঘটনাস্থলে যান। পশুচিকিত্সকরা বলেছেন, “বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগ গবাদি পশুদের মধ্যে দেখা যায়। পশুদের খাবার বা খামারের ব্যবহার করা জিনিস থেকে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এর উপসর্গ হিসাবে পশুদের ধুম জ্বর এবং মুখে ফ্যানা উঠতে দেখা যায়। কিন্তু রোগটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে। বিশেষত গরু, মোষ, ভেড়া, হাতি, ছাগল, শুয়োর ও হরিণের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশী হয়। তাই ব্যবসায়ীদের পশু কেনা-বেচার সময় সেটিকে খেয়াল রাখতে হবে”।
দপ্তরের উপ-অধিকর্তা চঞ্চল দত্ত জানিয়েছেন, “এটি একটি ভাইরাল সংক্রমণ। পশু চিকিত্সার পরিভাষায় এই ধরণের রোগকে এফএমডি অর্থাত্ ফুট এণ্ড মাউথ ডিজিস বলা হয়। তবে সাধারণ মানুষ এই রোগকে ‘খুরিয়া রোগ’ও বলে থাকেন। এই রোগের ভ্যাক্সিনও রয়েছে। এটি সরকারীভাবে বিনামূল্যে খামারের মালিকদের মধ্যে বিলি করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর এখনো রাজ্যে ভ্যাক্সিন রাজ্যে এসে পৌঁছায়নি”।