রায়া দাসঃ নদিয়াঃ আজ সকালে নদিয়ার চাপড়া থানার গাছা গ্রামে বাড়ির উঠোন থেকে মা-মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মৃতা মায়ের নাম মমতাজ মন্ডল ও শিশুকন্যার নাম মুস্কান মন্ডল।
স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা যায়, “ঘটনার সূত্রপাত একটি সোনার চেনকে নিয়ে। তাহেরার ও মমতাজ দুজনেই জ্বালানী কাঠের ব্যবসা করায় তাদের মধ্যে আলাপও ছিল। তাহেরার স্বামী ইসমাইল বিদেশে কাজ করেন। মমতাজের স্বামী নাজিমুল চাষবাস করেন। অতি সম্প্রতি নাজিমুল তার শিশুকন্যার জন্য একটি সোনার চেন বানিয়েছিলেন। সেই কথা মমতাজ তাহেরাকে জানিয়েছিলেন। এরপর তাহেরা সেটিকে দেখতে চায়। কারণ সে ওই চেনটির ছবি তুলে তার স্বামীকে পাঠাবেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereকিন্তু গতকাল সকালে মমতাজ তার শিশুকন্যাকে নিয়ে তাহেরার বাড়ি যাওয়ার পর সেখান থেকে আর ফেরেননি। এরপর ঠিক একদিন তারা নিখোঁজ থাকার পর আজ সকালবেলা নিজের বাড়ির উঠোনে দুজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেল”।
মৃতার আত্মীয়-পরিজনদের দাবী, “মা এবং মেয়েকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে।আত্মীয় সাহিদা বিবির অভিযোগ, “ইসমাইলের স্ত্রী তাহেরা সোনার চেনের জন্যই ভাইজিকে খুন করেছে”।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereমমতাজের স্বামী নাজিমুলের জানিয়েছেন, “দীর্ঘক্ষণ স্ত্রী ও মেয়ে বাড়ি ফেরেনি দেখে প্রতিবেশিনী তাহেরার বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে তারা নেই বলে জানিয়ে দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ ধমক দিয়ে বের করে দেয়। তবে যদি সঠিক সময়ে পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করতো তাহলে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতো না”।
আজ সকালে চাপড়া থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মৃতদেহ নিয়ে যেতে গেলে স্থানীয়রা সহ মৃতার পরিজনেরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তারা দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানায়। তবে পুলিশ ঘটনার সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।