নিজস্ব সংবাদদাতা,মধ্যপ্রদেশ : পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক অশান্তি নতুন কোনো বিষয় নয়। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে প্রায়শই ঘরে ঘরে অশান্তি নজরে আসে। এমনকি তা অনেক সময় হাতাহাতি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারেই অন্যরকম। যা অনেকটাই গল্প কাহিনীর মতো।
এই আশ্চর্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলার বাড়িবাদা গ্রামে। গৃহকর্তা হলেন ৫০ বছর বয়সী ওম নারায়ণ ভার্মা। যিনি পেশায় একজন কৃষক। তার কাছে ছিল পূর্বপুরুষের থেকে প্রাপ্ত একটি পথ কুকুর। তার নাম জ্যাকি। তবে ছেলের উপর রাগ করে শেষমেষ তাকে সমস্ত সম্পত্তি থেকে বাদ করে দিয়ে তার ২ একর জমি ওই কুকুরকে লিখে দিলেন। আর বাকি জমি তার স্ত্রী চম্পার জন্য লিখেছেন।
তিনি উইলে লিখেছেন, তারা দুজনেই তার খুব প্রিয়। তার স্ত্রী ও তার পোষা কুকুরই একমাত্র তাকে দেখাশোনা করে। তার মৃত্যুর পর যাতে তার পোষা কুকুরের কোনো কষ্ট না হয় তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিলেন। আর বর্তমানে জ্যাকির বয়স মাত্র ১১ মাস। তাই তার মৃত্যুর পর যে জ্যাকির দেখাশোনার করবে সেই জ্যাকির অবর্তমানে ওই ২ একর জমি পাবে। তবে জ্যাকিকে বাদ দিয়ে জ্যাকির সম্পত্তি ভোগ করার চেষ্টা করলে সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হবে।
তবে সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, বর্তমানে ওম নারায়ণ তার মতামত পরিবর্তন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, তখন রাগের মাথায় তিনি এই কাজ করে ফেলেছেন। কিন্তু এখন সে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান যমুনা প্রসাদ ভার্মার সাথে কথা বলে নতুন উইল তৈরির কথা ভাবছেন।