নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হিমাচলঃ ফের হিমালয়ের কোলে প্রাণ হারালেন তিন ট্রেকার। এবার হিমাচল প্রদেশের। কিন্নরে প্রবল তুষারঝড়ে পড়েন ১৩ জন অভিযাত্রী। শনিবারের বিপর্যয়ের ঘটনায় ওই দলের ১০ জনকে নিরাপদ ভাবে উদ্ধার করা গেলেও ৩ জন বেঁচে ফিরতে পারেননি।
তাঁদের দেহগুলি অন্তত চার ফুট বরফের গভীরে চাপা পড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তিন ট্রেকার মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন। তাঁদের নাম রাজেন্দ্র পাঠক, অশোক ভালেরাও এবং দীপক রাও। ওই দলে এক জন বাঙালি অভিযাত্রীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে বাকিদের সঙ্গে।
স্থানীয় সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, ১৭ ই অক্টোবর শিমলার রোহরু থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ওই অভিযাত্রী দল। কিন্নরের সাংলা পর্যন্ত ট্রেক করে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু গত শনিবার, ট্রেকের মাঝপথে বুরুয়া কান্দা উপত্যকায় তুষারঝড়ের মুখে পড়ে দলটি। প্রায় ৪৭০০ মিটার উচ্চতায় আটকে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে পৌঁছয় আইটিবিপি অর্থাত্ ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের একটি দল।
১০ জন অভিযাত্রীকে উদ্ধারও করে তারা। কিন্তু খোঁজ মেলেনি তিন জনের। আইটিবিপি সূত্রের খবর, হেল্পলাইন নম্বরে ফোন আসার পরে খবরটা জানতে পারে তারা। এর পরেই বিশেষ টিম ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। ১০ জনকে নামাতে পারলেও তিন জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মৃতদের দেহগুলি প্রায় ১৫ হাজার ফিট উচ্চতায় আটকে রয়েছে। আজ আরও একটি দল যাবে সে দেহগুলির খোঁজে।
পরপর একাধিক ট্রেকারের মৃত্যুর এই ঘটনায় এবার হিমাচলে সবরকম ট্রেকিং ও পর্বতারোহণ নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করল হিমাচল প্রদেশ সরকার। কয়েক দিন আগেই উত্তরাখণ্ডের লামখাগা পাসে ১১ জন অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ৬ জন বাঙালি ছিলেন। দুই অভিযাত্রীর এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি।
এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশেও তুষারপাতে মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। এখনও বহু পর্যটক ও ট্রেকার হিমালয়ের নানা এলাকায় আটকে রয়েছেন বলেও খবর। এই পরিস্থিতিতে হিমাচল সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিল ট্রেকিং বন্ধের।