নিজস্ব সংবাদদাতাঃ উত্তরপ্রদেশঃ ২১ এর শতকে এসেও এবার জিন্স হয়ে দাঁড়ালো মৃত্যুর কারণ। উত্তরপ্রদেশের দেবরিয়ার একটি গ্রামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী গ্রামের রাস্তায় জিন্সের প্যান্ট পরে বেরোনোর অপরাধে প্রাণে মরতে হলো।
জানা গেছে, ১৭ বছরের কিশোরী লুধিয়ানাতে বাবার সঙ্গে থাকত। গ্রামে ফিরে এসে স্বাভাবিক নিয়মে যেমন সে জিন্স পরত তেমনই পরেছিল। মাঝে মাঝে ট্রাউজারও পরত। কিন্তু কিশোরীর এমন পোশাক ঠাকুরদা ও কাকার নজরে দৃষ্টিকটূ লাগছিল। আত্মীয়রা একাধিক বার মেয়েটিকে এমন পোশাক আর না পরতে সাবধান করেছিল। বাড়ির অন্য মেয়েরা যেমন পোশাক পরে তেমন পোশাক পরতে বার বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তবে সে কোনো কথাই শোনেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার এই পোশাক পরা নিয়ে বাড়িতে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। কিন্তু এর পরেও গতকাল ওই কিশোরী জিন্সের প্যান্ট পরেই রাস্তায় বের হয়। আর বাড়ি ফিরতেই ওই কিশোরীকে ঠাকুরদা এবং কাকা দু’জনে মিলে বেধড়ক মারধর করে। এর ফলে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দ্রুত তারা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসক সূত্রে জানা যায় ওই কিশোরী হাসপাতালে আসার পথেই মারা যায়।
তারপরে ওই কিশোরীর মৃত্যুতে আত্মীয়রা ভয় পেয়ে দেহ লোপাটের জন্য একটি সেতু থেকে মৃতদেহ নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টাও করলেও ব্রিজের কিছুটা নীচের দিকেই মৃতদেহটি আটকে ঝুলতে থাকে। এই ঘটনায় একজন অটোচালক ঠাকুরদা ও কাকাকে সাহায্য করেছিল।
এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ওই কিশোরীর মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির মামা মাউদিহ পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ঠাকুরদা এবং অটোচালককে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো কাকা পলাতক রয়েছেন।