নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ গত বছর করোনার পরিস্থিতির মধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসে দার্জিলিংয়ে স্ক্রাব টাইফাসের দেখা মিলেছিল। চলতি বছর আবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় স্ক্রাব টাইফাস হওয়া এক রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতাল সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ৪০ বছর বয়সী সুনীলা বর্মন নামে এক জন মহিলা স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি মাথাভাঙা দুই নম্বর ব্লকের রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
গত সোমবার সুনীলা দেবী জ্বর নিয়ে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে রক্ত পরীক্ষা করতেই স্ক্রাব টাইফাস ধরা পড়ে। আজ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা খবর পেয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এর পাশাপাশি এই বিষয় সচেতনতামূলক প্রচারও শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গি বা টাইফয়েডের সঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসের উপসর্গগুলির অনেক মিল রয়েছে। সে জন্যই প্রাথমিক ভাবে স্ক্রাব টাইফাসকে আলাদা করে শনাক্ত করা মুশকিল। এটি একটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ। প্রধানত ওরিয়েনসিয়া শুশুগামুসি নামের ব্যাক্টেরিয়ার জন্য স্ক্রাব টাইফাস রোগ হয়।
শরীরে জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার কমপক্ষে এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ পর মাথা ব্যথা, শীত শীত ভাব, কাঁপুনি সহ আকস্মিক জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। উপসর্গগুলি হওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিন পরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।