ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ গতকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এরপর নাহিদ ইসলাম বেরিয়ে এসে জানান, মহম্মদ ইউনূস ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন। তারপরই গুঞ্জন রটেছে যে, আগামীকাল শনিবারই হয়তো তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন।
গত বছর আগস্ট মাসে বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী গণ আন্দোলনের মুখেই শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ সরকারের পতন হয়েছিল। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর আন্দোলনকারীরাই একত্র হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার তৈরী করে। আর নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসকে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে বসানো হয়।
দেশের সংস্কারের কথা বলে এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও, সেভাবে কোনো সংস্কারই হয়নি। শুধুমাত্র হাসিনা পন্থী প্রশাসনিক কর্তাদের পদ থেকে সরিয়ে মহম্মদ ইউনূস ঘনিষ্ঠদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের দাবী উঠছিল। কিন্তু তাঁর নেতৃত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের আগে নির্বাচন করাতে কোনোমতে রাজি নয়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে একদিকে রাজনৈতিক দলগুলির চাপ আর অন্যদিকে দিন দুয়েক আগে সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য চাপ দিতেই মহম্মদ ইউনূসের ইস্তফার জল্পনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লিগ পন্থী এক ব্যারিস্টার নিঝুম মজুমদারের দাবী, ‘‘শনিবার অবধি মহম্মদ ইউনূস ইস্তফা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। আর তাঁর এই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ গোটাটাই নাটক। আসলে ক্ষমতালোভী মহম্মদ ইউনূস পদ ছাড়তে চান না। এগুলি আবেগী নাটক করছেন।’’
পাশাপাশি মহম্মদ ইউনূসকে ভণ্ড বলেও কটাক্ষ করেছেন। এদিকে, বাংলাদেশ জুড়ে গুঞ্জন উঠেছে যে, মহম্মদ ইউনূস সেনা প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্যই নিজেই পদত্যাগের জল্পনা রটিয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবী, “আসিফ ও মাহফুজকে রক্ষা করার জন্যই এই আবেগের খেলা খেলছেন।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Here