চলছে যশের আগাম সর্তকতা
রাজেশ খানঃ বর্ধমানঃ ঘূর্ণিঝড় যশের মোকাবিলায় আগাম কোমর বাঁধলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জরুরী ভিত্তিতে বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সভা কক্ষে জেলা প্রশাসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। আমফানের সময় ব্লকস্তরের প্রশাসনের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের যে বিরোধ উপস্থিত হয়েছিল এবার যেন তা না হয় সেই বিষয় নিয়েও এদিন বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী হাজির ছিলেন। এছাড়াও জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলার ১৬ জন বিধায়ক, জেলা পরিষদের সমস্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং জেলা পুলিশ সহ প্রশাসনের সমস্ত কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আর যারা বৈঠকে হাজির হতে পারেননি এদিন তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন।
এদিন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী উভয়েই জানান, “যশের আগাম সর্তকতা হিসাবে সমস্ত ব্লক স্তরেই একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্লকস্তরের সরকারী আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার বিধায়ক নিয়ে এই কমিটি গড়া হচ্ছে। কোথায় কোথায় কি কি করতে হবে, দুর্যোগ আসলে কি কি ধরণের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে প্রভৃতি বিষয় দেখবে এই ব্লক কমিটিগুলি”।
স্বপন দেবনাথ আরো বলেন, “প্রতিটি ব্লকে থাকা ত্রাণ শিবিরগুলিকে স্যানিটাইজ করে তৈরী রাখতে বলা হয়েছে”।
এদিন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন, “কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত সমস্ত কৃষকদের কাছে সতর্কতামূলক বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি প্রতিটি বিধায়ককে ৫০০ টি করে ত্রিপল দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তা পর্যাপ্ত নয়। এটা আরো বাড়ানোর জন্য জেলাশাসককে জানানো হয়েছে”।
উল্লেখ্য, আমফানের সময় খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও অভিযোগ ওঠে যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না রেখেই বিডিওরা এককভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। যা নিয়ে রীতিমত সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। এই বিষয় সম্পর্কে সিদ্দিকুল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন, “এই বিষয়টিও এদিন তোলা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকস্তরে যেন জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”।