বুধবারই ‘যশের’ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা

Share

অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ বাংলা ও ওড়িশার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। এর প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আর ২৬ শে মে বুধবারই বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে ‘যশ’ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। মৌসম ভবন এরকমটাই চূড়ান্ত সতর্কবার্তা জারি করলো।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের মতোই শক্তিশালী হতে চলেছে। রবিবার শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বুধবার বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। এই ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণবঙ্গের দিক থেকে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।


প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ২৬ শে মে বুধবার সকালে ওড়িশার ভদ্রক এবং চাঁদিপুরের মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে। তাই উত্তর ওড়িশার জেলাগুলিতে সবচেয়ে বেশী ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। এদিকে বাংলায় বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল এলাকা সহ পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর সবথেকে বেশী প্রভাব ফেলবে।


অন্যদিকে দক্ষিন চব্বিশ পরগনা জেলার উপকূলবর্তী এলাকা পূর্ণিমার ভরা কোটালে তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভাসতে পারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টা ৪১ মিনিটে পড়ছে পূর্ণিমা তিথি যার স্থায়িত্ব বুধবার বিকাল ৫ টা ২৬ মিনিট অবধি। ২৩ শে মে থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।


এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রশাসন জোরকদমে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জেলায় এনডিআরএফের প্রতিনিধিদল পৌঁছে গেছে। গোসাবা, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার সহ বিভিন্ন জায়গায় সাইক্লোন সেন্টার তৈরী করা হয়েছে। আগে থেকেই মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ জানানো হয়েছে।

এমনকি একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া-চেন্নাই মেল লাইনের সব ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুরী-ভুবনেশ্বর থেকে হাওড়ার দিকে আসা সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আগামী ২৫ শে মে থেকে ২৭ শে মে পর্যন্ত ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে।

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
October 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031