নিজস্ব সংবাদদাতাঃ নয়া দিল্লিঃ দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সাগর ধনখড়ের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত অলিম্পিকে দু’বারের পদকজয়ী কুস্তিগীর সুশীল কুমার। ৪ ঠা মে সুশীল ও তার সঙ্গীরা ২৩ বছর বয়সী কুস্তিগীর সাগর ধনখড় এবং সাগরের সঙ্গীদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় সাগরের। আর সুশীলের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযুক্ত সুশীল দু’বার পালিয়ে যান। শেষমেশ রবিবার সুশীল ও তাঁর বন্ধু অজয় কুমারকে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেপ্তার করে।
কোর্টের তোলা হলে কোর্টের পক্ষ থেকে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত দিল্লির মডেল টাউন পুলিশ স্টেশনে বন্দী রয়েছে। এরপরই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যে সাগরের মা-বাবা সুশীলের ফাঁসির দাবী জানান।
চার ঘণ্টা ধরে সুশীলকে তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জেরায় তিনি স্বীকার করেন যে, “ঘটনার সময় ছত্রশাল স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন। তবে কাউকে খুন করা তার উদ্দেশ্য ছিল না”। বরং উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে চেয়েছিলেন”। অবশ্য পুলিশ ঘটনাটি পুরোপুরি খতিয়ে দেখছে।
সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই সুশীলকে রেলের নর্দার্ন বিভাগের সিনিয়র কমার্শিয়াল ম্যানেজার পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার সুশীলের পদ্মশ্রী সম্মান কেড়ে নিতে পারে। অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী পদ্মশ্রী প্রাপকের থেকে পদ্মশ্রী সম্মান কেড়ে নিতে রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে। এছাড়া পদ্মশ্রী সম্মান কেড়ে নেওয়া হলে পদক ফিরিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে সুশীলের নাম সমস্ত নথি থেকে মুছে দেওয়া হবে।
যদিও রাষ্ট্রপতি চাইলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়মও আছে। এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আদালতের নির্দেশের অপেক্ষা করছে। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব এন গোপালস্বামী জানান, “চার্জশিট গঠন হলে রাষ্ট্রপতি পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে নিতে পারেন। আবার নির্দোষ প্রমাণিত হলে পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে”।