অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আর জি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা জেলবন্দি সন্দীপ ঘোষ আর নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবেন না। এবার পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল। ফলে প্রেসক্রিপশনও লিখতে পারবেন না। প্রসঙ্গত, আর জি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে দুর্নীতি সহ খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এখন সন্দীপ ঘোষ সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) হেফাজতে রয়েছেন।
আজ পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিল জানিয়েছে, গত ৬ ই সেপ্টেম্বর সন্দীপ ঘোষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ওই নোটিশের যথাযথ জবাব দেননি। মঙ্গলবারই চিকিৎসক সংগঠন আইএমএর রাজ্য শাখার তরফ থেকে মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে তাঁর নাম অপসারণ করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
ঘটনাচক্রে, তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায় রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি পদে বর্তমানে রয়েছেন। আর চিঠিতে সুদীপ্ত রায়কে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ না দেখে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ওই চিঠিতে তৃণমূলের অন্য এক জন চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনেরও সই ছিল। উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের পর শান্তনু সেনও আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereউল্লেখ্য, মেডিকেল কাউন্সিলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কোনো চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বাতিল করতে হলে দু’টি কারণে তা করা সম্ভব। এক, যদি কেউ কোনো অপরাধের চক্রান্ত বা তাতে সরাসরি যুক্ত থাকার জন্য আদালতে দোষী প্রমাণিত হন। দুই, কোনো অপরাধমূলক কাজে নাম জড়ানোর ফলে জনসমাজে যদি বদনাম হয়ে থাকে। তবে দু’টি ক্ষেত্রেই শোকজ না করে কোনো চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা নিয়মবিরুদ্ধ। তাই সন্দীপ ঘোষকে শোকজ করা হয়েছিল। আর শোকজের জবাব দেওয়ার সময়সীমাও অতিক্রান্ত হয়েছে।