ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ট্রোক রোধের উপায়

Share

মিনাক্ষী দাসঃ সকলের সুস্থ শরীরই একান্ত কাম্য। শরীর সুস্থ থাকলে তবেই সমস্ত কার্য সম্পন্ন করা সম্ভব।

আর এই সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য মস্তিষ্কের কোষ এবং দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন। তবে কোনো কারণবশত মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ সংকীর্ণ হয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলে সম্পূর্ণভাবে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের কোষ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আর একেই চিকিৎসকদের পরিভাষায় স্ট্রোক বলে।

স্ট্রোক হওয়ার নানা কারণ আছে সেগুলি হলো
১] হার্টের অসুখ খেলে ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা প্রবল থাকে।


২] রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে স্ট্রোক হয়।

৩] নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসের কারণে স্ট্রোক হয়।


৪] স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশনের মতো বিভিন্নরকম মানসিক সমস্যা স্ট্রোকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫] ফাস্টফুড ও তেল-মশলা জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেলে স্ট্রোক হয়।


৬] কোনো পরিশ্রম করে না এমনকি চলাফেরা বন্ধ করে বাড়িতে শুয়ে-বসে থাকলেও স্ট্রোক হয়।

৭] ব্লাড প্রেসার থাকলে বা উচ্চ রক্তচাপের প্রভাবে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে স্ট্রোক হয়।

৮] যারা ডায়াবেটিসের রোগী তারা সঠিক পদ্ধতিতে ডায়েট কন্ট্রোল না করে কোনোরকম শারীরিক অনুশীলন না করে এক অনিয়ম মাফিক জীবনযাপন করলে তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।

তবে এই স্ট্রোকের প্রতিরোধ করারও কয়েকটি নিয়ম আছে

১] শরীরে মেদ বৃদ্ধি চলবে না।

২] প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।

৩] নিয়মিত প্রায় ৪০ মিনিট হাঁটাচলা করা উচিত।

৪] ব্লাড প্রেসার এবং ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৫] স্পাইসি ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি না খেয়ে ডায়েটে ফলের পরিমাণ বাড়ালে তা স্বাস্থ্যের জন্যও ভীষণভাবে উপকারী।

৬] হঠাৎ যদি বুকে ব্যথা হয়, শরীর খারাপ লাগে বা শরীর ও শরীরের কোনো অংশ অবশ লাগে এবং কথা বলতে অসুবিধা হয় বা কথা আটকে যায় এমনকি চোখে কিছুক্ষণ ঝাপসা দেখা বা একেবারেই না দেখা, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, মাথা ঘোরা আর তার সাথে বমি বমি বোধ অথবা বমি করলে সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।

 

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30