মিনাক্ষী দাসঃ নিজেকে সুন্দর দেখাতে বর্তমান দিনে ওয়াক্সিং করান না এমন নারীদের সংখ্যা নিতান্তই কম। আর ওয়াক্সিং করলে ত্বক মসৃণ ও পশম মুক্ত হয়ে ওঠে। তবে অনেকেই অনেক রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে ওয়াক্সিং করেন।
কেউ রেজার দিয়ে করেন তো কেউ বাজারে প্রচলিত কৃত্তিম উপায়ে তৈরী হেয়ার রিমুভাল ক্রিম দিয়ে করেন আবার কেউ পার্লারে হাজার হাজার টাকা খরচ করে ওয়াক্সিং করেন। আর এতে ত্বকের উপর খানিকটা হলেও প্রভাব পড়ে। কিন্তু অবাঞ্চিত পশম অপসারণের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে ত্বকও ভাল থাকবে এবং ঔজ্জ্বল্যতা বাড়বে।
১) হলুদ ও কাঁচা পেঁপের সংমিশ্রণে ওয়াক্সিং করার পদ্ধতিঃ
হলুদের সাথে কাঁচা পেঁপের মিশ্রণ অবাঞ্চিত লোম বৃদ্ধি ধীর করার জন্য একটি দুর্দান্ত উপায়। কারণ পেঁপেতে প্যাপেইন এনজাইম রয়েছে যা পশমের বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। আর হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই এটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভাল কাজ করে।
এর জন্য কিছু কাঁচা পেঁপে পিষে এর মধ্যে এক থেকে দুই চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করতে হবে। তারপর সারা মুখে ও শরীরে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার এই পদ্ধতি মেনে চললে পশমের বৃদ্ধি ধীর হয়ে যাবে।
চিনি, মধু এবং লেবুর সংমিশ্রণ ওয়াক্সিং করার পদ্ধতিঃ
মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। আর লেবু একটি ব্লিচিং এজেন্ট। অন্যদিকে চিনি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। অতএব এই তিনটি উপাদান মিলিত ভাবে অবাঞ্চিত পশম দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। এর জন্য একটি পাত্রে এক টেবিল চামচ চিনি, মধু এবং লেবু মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট না হওয়া অবধি গরম করতে হবে।
প্রয়োজন হলে সামান্য জল দেওয়া যেতে পারে। তারপর এই মিশ্রণটি নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে একটি ওয়াক্সিং স্ট্রিপ দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আর চুলের বৃদ্ধির বিপরীত দিকে প্যাট করে স্ট্রিপ করতে হবে। এটি করার পরে ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করতে ময়েশ্চারাইজার লাগানো যেতে পারে।