ব্যুরো নিউজঃ বাংলাদেশঃ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের দেওয়া রায়কে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তীব্র কটাক্ষ করলেন। আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইবুন্যালের তিন বিচারপতির বিশিষ্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেছেন। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত শেখ হাসিনা ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আরেক আসামী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন পুলিশকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হওয়ার সুবাদে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু দেশান্তরী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কোনো রায়কেই চূড়ান্ত মানতে নারাজ। এদিন রায় ঘোষণার পরই আওয়ামী লিগের সমাজমাধ পোস্ট হয়েছে শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া। সমস্ত অভিযোগকে নস্যাৎ করে, গোটা রায়দান প্রক্রিয়াকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। মোট পাঁচ পাতার সেই বিবৃতিতে হাসিনা লিখেছেন, ‘এই রায় পক্ষপাতদুষ্ট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ওঁরা ওঁদের চরমপন্থী ভাবধারাকে মানুষের সামনে তুলে ধরেছে। এই নামমাত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের দেওয়া রায়ের কোনও ভিত্তি নেই।’

এখানেই থেমে থাকেননি হাসিনা। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার এই রায় আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল বলেই দাবি মুজিব-কন্যার। তাঁর কথায়, ‘ইউনূস সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে দেশের বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসাবে ব্য়বহার করছে। বাংলাদেশ ট্রাইবুন্যালের এই রায়কে কোনও পেশাদার আইনজীবী সমর্থন করবেন না।’ বাংলাদেশে এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের অস্তিত্ব নিয়েও অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন হাসিনা।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তাঁর কথায়, ‘‘নামে আন্তর্জাতিক লেখা থাকলেও, কাজে নয়। এটা স্পষ্ট, ইউনূস সরকার নিজেদের রাগ মেটাতে এই আদালতকে ব্যবহার করেছে। আমি আগে ওঁদের চ্যালেঞ্জ করেছি। আবারও করছি। সাহস থাকোলে আমার বিরুদ্ধে হগে স্থিতু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যান। আমি এটাও জানি, ওরা যাবে না। কারণ, আইসিসি আমাকে রেহাই দেবে।’’










