অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ ২১ শে এপ্রিল চাকরীহারাদের ডাকে নবান্ন অভিযান রয়েছে। কিন্তু সেই নবান্ন অভিযান নিয়ে চাকরীহারা শিক্ষকরা নতুন সিদ্ধান্ত নিলেন। আজ চাকরীহারা শিক্ষকরা নতুন জানান, “আপাতত নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখা হচ্ছে। নবান্ন অভিযান কবে হবে, সেই তারিখ পরে জানানো হবে।”
এদিন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চের তরফে দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, “আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর থেকে বারবার পুলিশ-প্রশাসনের তরফে আমাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গতকাল ডিজিপি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ একাধিক আধিকারিকের উপস্থিতিতে দফায় দফায় আলোচনা হয়। সেখানে উঠে আসে, আমরা মুখ্যসচিবের সঙ্গে আপাতত আলোচনায় বসব। আমাদের বলা হয়েছে, সঠিক পদক্ষেপ করা হবে। আজ আমরা মেইল করেছি। জানিয়েছি, আমরা মুখ্যসচিবের সঙ্গে বসতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও বসতে চাই।”
তারপরই তিনি বলেন, যতক্ষণ না সঠিক সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন না তাঁরা। শুধু ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযান স্থগিত রাখা হচ্ছে। সমাধান সূত্র না বের হলে আরও বৃহৎ প্রস্তুতি নিয়ে নবান্ন অভিযান হবে বলে তিনি জানান। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এসএসসি-র ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। ঐক্যমঞ্চের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কারণে সবাইকে পথে বসতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ শে এপ্রিল নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়ার জন্য ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধিরা তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আর তিলোত্তমার মা-বাবাও নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়ার আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে দেখা হয়নি। পরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চাকরীহারা শিক্ষকদের নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, “আমাকে রাজনীতিতে জড়াবেন না।”