নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আর আজ জলপাইগুড়ির মালবাজারে এক বুথ লেভেল অফিসারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। মৃত বিএলওর নাম শান্তি মুনি ওরাওঁ। বয়স ৪৮ বছর। বাড়ি মালবাজারের রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। শান্তি মুনি আইসিডিএস কর্মী ছিলেন। আর রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০১ নম্বর বুথে বিএলওর দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।

এদিন শান্তি মুনির দেহ গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হতেই স্বামী সুখু এক্কা জানান, “প্রতিদিন আমার স্ত্রী ভোরে উঠে পড়তেন। রান্না করতেন। আমরা একটু দেরি করে উঠি। এদিন ভোরে স্ত্রী উঠে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর উঠে গিয়ে দেখি, কোনো রান্না হয়নি। আশেপাশেও নেই। এরপর একটু দূরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।” শান্তি মুনির মৃত্যুতে সুখু এক্কা দাবী করেন, স্ত্রী বাংলা পড়তে-লিখতে না জানায় প্রতিদিনই সমস্যায় পড়তেন। চাপে ভেঙে পড়তেন। সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যে সাতটা অবধি করতে হত। তবে কয়েকদিন আগে মালবাজার ব্লকের যুগ্ম বিডিওর কাছে বিএলওর পদ ছাড়ার আবেদন জানাতে গেলে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

রাজ্যের আদিবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও মাল বিধানসভার বিধায়ক বুলুচিক বড়াইক খবর পেয়ে শান্তি মুনির বাড়িতে এসে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। পাশাপাশি জানান, “এসআইআর আতঙ্কে বহু ভোটার আত্মঘাতী হয়েছেন। এবার কাজের চাপে এক বিএলওর মৃত্যু। ওরা হিন্দিভাষী। কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল। শান্তি মুনির এক ছেলে এবং এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। একটি সুখী পরিবার ভেঙে গেল। এর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতেই হবে।” এর আগে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় অসুস্থ হয়ে এক বিএলওর মৃত্যু হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও কাজের চাপের অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অনেকে আত্মহত্যাও করেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here









