অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ কলকাতার রাজপথে ছুটে চলা ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি শহরের সংস্কৃতি ও নস্টালজিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একসময় অ্যাম্বাসেডর মডেলের হলুদ ট্যাক্সিগুলি কলকাতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল, তবে ধীরে ধীরে সেই ট্যাক্সির সংখ্যা কমতে থাকে। কিন্তু এবার সেই পরিচিত হলুদ ট্যাক্সি নতুন রূপে, আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া নিয়ে ফিরছে। আর এই হলুদ ট্যাক্সির গায়ে শহিদ মিনার, হাওড়া ব্রিজ এবং ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ছবি আঁকা থাকবে। যা আরো নস্টালজিক করে তুলবে।
পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন দপ্তর ও মারুতি সুজুকির যৌথ উদ্যোগে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরে কলকাতায় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন হলুদ ট্যাক্সির প্রথম ব্যাচ উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি মূলত Suzuki Wagon-R এর হাইব্রিড মডেল, যা পুরোনো অ্যাম্বাসেডর ট্যাক্সির জায়গা নেবে। প্রথম পর্যায়ে কিছু সংখ্যক ট্যাক্সি চালু করা হলেও প্রতি মাসে একশোটি করে নতুন ট্যাক্সি যুক্ত করা হবে। গাড়িগুলি ‘যাত্রী সাথী’ (Yatri Sathi) অ্যাপের মাধ্যমে বুক করা যাবে, যা যাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক এবং সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
নতুন হলুদ ট্যাক্সিগুলি হাইব্রিড মডেলের হওয়ায় তুলনামূলকভাবে কম জ্বালানী খরচ করে ও পরিবেশ দূষণও কমায়। পাশাপাশি ঝাঁ চকচকে আধুনিক প্রযুক্তি হওয়ায় চালকদের জন্য আরামদায়ক হবে। আর যাত্রীদের জন্য নিয়মমাফিক ভাড়াও হবে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার আগে থেকেই কলকাতায় ট্যাক্সি পরিষেবা চালু ছিল। ১৯৪৮ সালে হিন্দুস্তান মোটর্স ফ্যাক্টরীতে প্রথম গাড়ি তৈরী শুরু হয়। আর ১৯৬২ সালে সাদা অ্যাম্বাসাডর গাড়িকে হলুদ করে ট্যাক্সি হিসেবে চালানো শুরু হয়। তবে হিন্দুস্তান মোটর্স হুগলীর হিন্দমোটর থেকে নিজেদের কারখানা গুটিয়ে চলে গিয়েছে। তাই বর্তমানে এই সংস্থাটি মারুতির সঙ্গে চুক্তি করেছে। অতএব, এবার নতুন রূপে, কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি আবার জীবন্ত হয়ে উঠবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here