নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কোচবিহারঃ পঞ্চায়েত দখলকে কেন্দ্র করে কোচবিহারের মাথাভাঙার দুই নম্বর ব্লকের বড় শোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও শাসক শিবির বিজেপির উপর অভিযোগের আঙুল তুললো।
জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের তেইশটি আসনের মধ্যে বিজেপি চোদ্দটি আসন পায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে তারা পঞ্চায়েত গঠন করে। কিন্তু প্রথম দফায় দুই জন ও গত ১ লা অক্টোবর গঙ্গাধর মণ্ডল নামে বিজেপির এক জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বারো জন প্রতিনিধি এবং বিজেপির এগারো জন প্রতিনিধি হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে আবার গঙ্গাধর মণ্ডল বিজেপিতে ফিরে গিয়েছেন। আর এদিন মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মণের নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েত অফিসে যান।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তবে ওই সময় তৃণমূল পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত করলে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়। পঞ্চায়েত অফিস থেকে বিধায়ক এবং বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যেরা বেরিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূল প্রধানের বসার চেয়ার-টেবিল বাইরে এনে ভেঙে দেয়। পঞ্চায়েত প্রধান জয়ন্ত দে এই প্রসঙ্গে জানান, ‘‘আমাদের সদস্যদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হচ্ছে। গঙ্গাধর মণ্ডল নামে আমাদের এক জন সদস্যকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করিয়ে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়েছিল।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
এরপর ছাড়া পেতেই আবার বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এদিন আচমকা তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করেন। বিনা কারণে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরী করা হয়। পরে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়।’’ অন্যদিকে, এলাকার ব্লক সভাপতি সাবলু বর্মণ বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। তৃণমূলকর্মীরা কোথাও কোনো ভাঙচুর করেননি। বিজেপি নিজেরাই এই সব করেছে। তার পরে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here