মা সহ স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে
নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মালদার গাজোলের আলালের মুড়িয়াকুন্ডু গ্রামে গর্ভবতী মহিলাকে মাটিতে ফেলে পেটে লাথির পাশাপাশি শ্বাশুড়িকে বিবস্ত্র করে মারধর করার অভিযোগ উঠলো তিন জন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সহ তাদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, নিসাদ সেলিম রেজা মুড়িয়াকুন্ডু গ্রামের বাদিন্দা। এই গ্রামের গা লেগে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক চলে গেছে। আর এই জাতীয় সড়ক হওয়ার পর থেকেই প্রত্যন্ত গ্রামের জাতীয় সড়ক লাগোয়া জায়গার দাম জমি মাফিয়াদের দৌলতে আকাশ ছোঁয়া হয়ে গেছে।
এই গ্রামগুলোতে বহিরাগত প্রমোটার, ঠিকাদার ও জমি মাফিয়াদের ভিড় লেগেই থাকে। এমনকি স্থানীয় বা জেলা স্তরের শাসক দলের নেতা কর্মীদেরও আসা যাওয়া চলতো।
নিসাদ রেজার এমনই একটি জায়গায় বাড়ি করে ছোটো কমপিউটারের দোকান খুলেছিল। আর সেদিকেই জমি মাফিয়াদের নজর। কিন্তু জমি প্লট করে ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। এরপরই জমি মাফিয়া তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা তাদের কিছু টাকার বিনিময়ে অন্যত্র সরে যেতে বলে। তবে নিসাদ রাজি না হওয়ায় তার ওপর হামলা চলে।
এরপরে নিসাদ পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরে হুমকির মাত্রা বাড়তে থাকে। আর নিসাদ বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা কামরুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, আহাসানুল ইসলাম এবং করিমুল ইসলাম সহ আরো কয়েকজন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
জমির দলিল চায়। জোর করে সেই জমি বিক্রি করানোর জন্যে সই করাতে চাপ দিতে থাকে। তবু নিসাদের মা রাজি না হলে তাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। এরপর নিসাদের গর্ভবতী স্ত্রী বাধা দিতে আসামাত্রই দুস্কৃতীরা মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মারে।
তারপর গ্রামছাড়া করার হুমকি দিয়ে বাইরে নিসাদের দোকানে তালা মেরে চলে যায়। এরপরে নিসাদ এসে প্রথমে মা ও স্ত্রীকে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
যদিও গোটা বিষয়টি গাজোল থানায় অভিযোগ জানিয়েও কেউ গ্রেফতার হয় নি। উল্টে এখন অবধি নিজেরাই মালদা শহরে হাসপাতাল চত্বরে রয়েছেন। আতঙ্কে গ্রামে ঢুকতে পারছেন না। তৃণমূলের নেতা কর্মী বলে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গ্রামের মোড়ল মাতব্বরদের সালিশী করার চেষ্টা হলে উলটে অভিযুক্তদেরই পক্ষ নেওয়া হচ্ছে।