মহিলা পুলিশের দ্বারা হেনস্থার শিকার হলেন তৃণমূল প্রার্থী

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ত্রিপুরাঃ নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে দিনের পর দিন ত্রিপুরায় অশান্তি ততো চরমে উঠছে। এবার আগরতলার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী পান্না দেবকে পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে পাঁজাকোলা করে বার করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ালো।

পান্না দেব জানান, “প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফ্লেক্স-ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল প্রচারের সময়ে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলাও চালিয়েছে। কিন্তু আগরতলা পূর্ব থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়নি। এরপরে পুলিশ সুপারের দপ্তরে প্রবেশ করতে গেলে বিনা অনুমতিতে সরকারী দপ্তরে প্রবেশের কারণ দেখিয়ে মহিলা পুলিশ কর্মীদের দিয়ে পাঁজাকোলা করে বাইরে বার করে দেওয়া হয়”।


এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে বিক্ষোভও দেখান। এদিন সাংসদ সুস্মিতা দেব ও তৃণমূলের রাজ্য নেতা সুবল ভৌমিককে পাশে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন আগরতলায় বলেন, ‘‘ভয়ের পরিবেশ তৈরী করা হচ্ছে। বিজেপি পুরভোটে বিরোধীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। ত্রিপুরার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে’’।


তবে বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতা নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করতে গেলে আগাম সময় নিতে হয়। ওই নেত্রী তা করেননি। এছাড়া ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে খুনের মামলাও আছে। আপাতত এখন জামিনে রয়েছেন’’।


পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, “তৃণমূল বাংলা থেকে সমাজবিরোধীদের নিয়ে গিয়ে ত্রিপুরায় তাদের ভিত শক্ত করার চেষ্টা করছে। তাতে সেখানকার সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ ভয়ে আছেন। আমাদের কাছে ছবি আছে, এখানকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী ত্রিপুরার পুরভোটে তৃণমূলের সমর্থনে প্রচার করছেন।

অপরাধীরা সেখানে পৌঁছে গেলে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আন্দোলন করলে পুলিশ যা করার করবে। আর যদি পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতিকে পুলিশ চ্যাংদোলা করে তুলে নিতে পারে সেখানে পুরভোটের এক জন প্রার্থী বা অন্য কেউ কি এমন ব্যাপার?”

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930