মিনাক্ষী দাসঃ উত্তর চব্বিশ পরগণাঃ এতো বিপ্লব, এতো আন্দোলন, এতো ধরপাকড়, ভাইরাল ভিডিয়ো, কোনো কিছুই কি তবে কাজ করল না? গণনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালি আসনে ৬ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। পিছিয়ে বিজেপি।
রেশন দুর্নীতিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি-র অভিযান দিয়ে সন্দেশখালিতে যে পর্বের সূচনা হয়েছিল, সেই পর্বের ক্লাইম্যাক্স যেন এই নির্বাচনের ফল। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল সন্দেশখালিতে। ঝাঁটা, লাঠি হাতে পথে নেমেছিলেন হাজার হাজারও সন্দেশখালির মহিলারা। সন্দেশখালিতে উঠেছিল নারী নির্যাতনের একের পর এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ। যা বাংলার রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় স্তরে পৌঁছে যায়।
সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনকে ইস্যু করে ময়দানে নামে বিজেপি। নির্যাতিত মহিলাদের পাশে দাঁড়ান। প্রিয়াঙ্কা টিব্রাওয়াল মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন সন্দেশখালিতে। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক আগে বাজি মারে গঙ্গাধর কয়ালের ভাইরাল ভিডিয়োতে বলতে শোনা গিয়েছিল, নির্যাতনের সমস্ত অভিযোগই নাকি টাকা দিয়ে করানো হয়েছিল। ভয়ঙ্কর এই বক্তব্য ঝড় তোলে বাংলায়। তৃণমূল হাতিয়ার করে, মহিলাদের সম্মান টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছে বিজেপি। আর এই অভিযোগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পৌঁছে যায় দিল্লি পর্যন্তও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সন্দেশখালির নির্বাচনের ফল যেন সেই ছবিই স্পষ্ট করল। নির্বাচনের দিন থেকে শুরু করে গণনার আগের দিন পর্যন্তও সন্দেশখালি তপ্ত ছিল। রাত পাহারা দিয়েছেন মহিলারা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে গণনার আগের দিনও পথে নেমেছেন। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু সব ছাপিয়ে সন্দেশখালিতে ফুটল সেই ঘাসফুল।