নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ দক্ষিণবঙ্গ থেকে নিম্নচাপ সরে বিহারে চলে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমের জেলাগুলি ভারী বৃষ্টিতে ডুবে গিয়েছে। পুরুলিয়াও ভেসেছে। এবার বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ১৭ হাজার ৫০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যে ৬ টা থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ এক ধাক্কায় দশ হাজার বাড়িয়ে ২৭ হাজার ৫০০ কিউসেক করা হয়। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
কংসাবতী নদীর উপর থাকা মুকুটমণিপুর জলাধারে মূলত কংসাবতী ও কুমারী নদী দিয়ে জল আসে। নিম্নচাপের প্রভাবে পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টি হওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই ওই দুই নদী দিয়ে মুকুটমণিপুর জলাধারে বিপুল পরিমাণ জল আসতে শুরু করে। এমনিতে মুকুটমণিপুর জলাধারে সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩৪ ফুট উচ্চতা অবধি। তবে দুই নদী দিয়ে জলাধারে বিপুল জল আসতে থাকায় গতকাল জলাধারে জলস্তরের উচ্চতা ৪৩৬.১৫ ফুট ছুঁয়ে যায়। জলাধারে জলের চাপ কমাতে সেচ দপ্তর দ্রুত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়।
এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ড এবং সংলগ্ন পুরুলিয়াতে ভারী বৃষ্টি হলে জল ছাড়ার পরিমাণ আরো কিছুটা বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। এদিকে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকায় পশ্চিম মেদিনীপুরে বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী করার আশঙ্কা ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। যার মধ্যে ঘাটাল ও চন্দ্রকোণা আবার ডুবেছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here