মিঠু রায়ঃ কলকাতাঃ জাল ভ্যাক্সিনেশনের পরে এবার জাল ভ্যাক্সিনের সন্ধান পাওয়া গেল খাস কলকাতায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে, “গোপন সূত্রের ভিত্তিতে তাঁরা কলকাতায় ভুয়ো কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের খোঁজ পেয়েছে। জালিয়াতরা বাজারে ভুয়ো কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন ছাড়ছে”।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ এই বিষয়ে বলেছেন, “কলকাতায় কোভিড ভ্যাক্সিনের চাহিদার তুলনায় যোগান কম। আর জালিয়াতরা সেই সুযোগেই বাজারে ভুয়ো কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন ছাড়ছে”।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব কিছু জানানো হয়েছে। কিন্তু সম্পূর্ণ বিষয়টি নিয়ে এখনো অবধি রাজ্য সরকার বা কলকাতা পুরনিগম কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশের সাথে কোনোরকম যোগাযোগ করা হয়নি। তাই এই পাওয়া তথ্য কতখানি সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ঘটনাটি একটি মেডিকেল রিপোর্টের মাধ্যমে সামনে এনেছে। আর সেই রিপোর্ট প্রকাশ করার পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে ভুয়ো ভ্যাক্সিনের বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে রাজ্য সরকারকেও এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে”।
কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটও সরাসরি রোগীদের ভ্যাক্সিন বিক্রি করছে না। দেশের মানুষ যে ভ্যাক্সিন পাচ্ছেন তা সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল অথবা বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতাল থেকে। দোকানে এবং খোলা বাজারে ভ্যাক্সিন ছাড়া হয়নি। তাই রাজ্য সরকার যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে।
যদিও মনে করা হচ্ছে যে করোনা ভ্যাক্সিনের মধ্যেও কোভিশিল্ডের চাহিদাই সব থেকে বেশী। সেই তুলনায় কোভিশিল্ডের যোগান কম থাকায় এখন জালিয়াতদের বাজারে নকল ভ্যাক্সিন ছেড়ে দিতে বেশ সুবিধা হয়ে গিয়েছে।