চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ এবার ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সংস্থার নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের কথা জানতে পেরেছে।
আজ অর্পিতাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করতে গিয়ে আদালতে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। যেখানে অর্পিতার দুই সংস্থার নামে যে ক’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে আরো ৫ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে অর্পিতার নামে ‘সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’ ও ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে দুই সংস্থার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন জানা গিয়েছে, গত ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই অবধি ইচ্ছে সংস্থার দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে।
ইডির তরফ থেকে দাবী করা হয় যে, ইচ্ছের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা পড়ত সেই টাকা দিয়েই সম্পত্তি কেনা হত। এভাবেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাহায্য করতেন। আর অর্পিতার নামে তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল। যে টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করতেন।
ইডির আইনজীবীরা দাবী করেন, “এসএসসি নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অঙ্ক একশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগে যে সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে, তা ছাড়াও আরো দু’টি নতুন সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি একাধিক ভুয়ো কোম্পানী খুলে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছিল।
ওই ভুয়ো সংস্থাগুলিতে যে সমস্ত ডিরেক্টরের নাম রয়েছে তারা সবাই ডামি। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতেই ভুয়ো সংস্থাগুলোর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যেই সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম ‘ভিউমোর’ ও ‘মেসার্স সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’। এদিকে কলকাতায় রাসবিহারী কানেক্টরের কসবায় একটি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
যা মেসার্স সিমবায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের’ নামে কেনা হয়েছিল। যে সম্পত্তির বাজার মূল্য ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকারও বেশী। অন্যদিকে ৮, যামিনী রায় রোডেও একটি সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যে ভিউমোরের নামে কেনা হয়েছিল। ইডির দাবী অনুযায়ী, নতুন দু’টি সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ছয় কোটি টাকার কাছাকাছি।