ওয়েব ডেস্কঃ সম্প্রতি অর্ণব গোস্বামী ও টিআরপি মামলায় ধৃত বিএআরসি-র প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের কথোপকথনে বালাকোট নিয়ে আলোচনা প্রকাশ্যে এসেছে। তারপরই বালাকোট হামলা সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ফাঁস হওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিততেই এই হামলা চালানো হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে বলা হয় যে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পাক জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা চালায়। ওই আক্রমণে ৪০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। যার জেরে ভারতীয় বায়ুসেনারা বালাকোট এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। ফলে প্রায় ৪০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।

- Sponsored -
তাই এবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কাণ্ডকে হাতিয়ার করে ভারতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইমরান খানের প্রশাসন। সোমবার ইমরান খান একাধিক টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, “২০১৯ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় আমি বলেছিলাম, “ফ্যাসিবাদী মোদি সরকার বালাকোট সঙ্কটকে ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে সুযোগ নিয়েছে। আর সম্প্রতি এক ভারতীয় সাংবাদিকের কথায় মোদি সরকার এবং ভারতীয় মিডিয়ার ষড়যন্ত্র সামনে এসেছে। ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে। ১৫ বছর ধরে গোটা বিশ্বে আমাদের বদনাম করার যড়যন্ত্র হয়েছে”।
পাকিস্তানের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত যে পাকিস্তানের মাটিতে বড়োসড়ো হামলার ছক কষছে সেই খবর রিপাবলিক টিভির কর্ণধার অর্ণব গোস্বামীর কাছে আগে থেকেই ছিল। আর সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের গোপন তথ্য অর্ণব গোস্বামীর কাছে গেল কী ভাবে? এবার এই বিষয়ে বিজেপির এক সময়ের শরিক শিবসেনাও প্রশ্ন তুলেছেন।