নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আগামী রবিবার জামাই ষষ্ঠী। এই দিনে জামাইদের শ্বশুর বাড়িতে আদর আপ্যায়নের কোনো খামতি থাকে না। ওইদিন জামাইবাবাজীদের ভুরিভোজেরও কোনো অন্ত থাকে না। আর সেই আয়োজনের জন্য শ্বশুর-শ্বাশুড়িদেরও বেজায় পরিশ্রম করতে হয়।
আর এবার পঞ্চায়েত দফতরের উদ্যোগে সেই পরিশ্রম কিছুটা হলেও কমতে পারে। পঞ্চায়েত দফতরের অধীন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কমপ্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের’ উদ্যোগে জামাইষষ্ঠীর দিন বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
যেখানে স্বল্প খরচে জামাইষষ্ঠীর ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করলেই শ্বশুর-শাশুড়িরা হেঁশেলের ঝামেলা ছাড়াই জামাইদের রসনা তৃপ্তি দিতে পারবেন। সরকারী উদ্যোগেই বাংলার জামাইদের সস্তায় মহাভোজ করানোর সুযোগ থাকছে।
যেখানে ৫০০ টাকা মূল্যের দুটি পৃথক থালার আয়োজন করা হয়েছে। একটি থালায় কড়াইশুঁটি দেওয়া গন্ধরাজ ভাত, ইলিশ পাতুরি, ঝাড়গ্রামের বনমুরগির মাংস, আনারসের চাটনি ও শক্তিগড়ের ল্যাংচা থাকবে।
দ্বিতীয় থালায় কড়াইশুঁটি দেওয়া গন্ধরাজ ভাত, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, ঝাড়গ্রামের পাঁঠার মাংস, আনারসের চাটনি এবং শক্তিগড়ের ল্যাংচা থাকবে। ইলিশ পাতুরি ও গলদা চিংড়ি এবং ঝাড়গ্রামের বনমুরগি ও খাসির মাংস আলাদা করে পাওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তার জন্য অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে।
খাবারের জন্য ৮১৭০৮৮৭৭৯৪, ৮২৪০৬২২৩৪৬ ও ৯৭৩৪৩৯৯৯১৫ নম্বরে হোয়াটঅ্যাপ করে খাবার অর্ডার দিলেই জামাইষষ্ঠীতে নির্দিষ্ট সময়ে বাড়িতে জামাই আপ্যায়নের খাবার পৌঁছে যাবে। কলকাতা, বরাহনগর, বিধাননগর, উত্তর দমদম এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
শুক্রবার ৩ রা জুন অবধি খাবারের অর্ডার দেওয়া যাবে। আর খাবারের অর্ডার বাতিল করলে তা ২৪ ঘণ্টা আগে হোয়াটসঅ্যাপ জানাতে হবে। অনলাইনে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ক্যাশ অন ডেলিভারির সুযোগও থাকছে বলে জানানো হয়েছে।