নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আসামঃ গতকাল আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গোরুর মাংস বিক্রি বা পরিবেশন করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকাশ্যে গোমাংস বিক্রি করা যাবে না। আর হোটেল-রেস্তোরাঁ এমনকি বিয়েবাড়িতেও গোরুর মাংস পরিবেশন যাবে না। নির্দেশ অমান্য করলেই তিন থেকে আট বছরের কারাদণ্ড সহ তিন লক্ষ টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানার বিধান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্য কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি আসামের মুসলিম-অধ্যুষিত সামাগুড়ির উপনির্বাচনে জয়ী হতে গোরুর মাংস বিলিয়েছিল। এমন অভিযোগ করায় রাজ্যের বিজেপিদলীয় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্য কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেন। আর এই ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় এদিন হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে জানান, “রাজ্য ক্যাবিনেট বৈঠকে গোমাংস পরিবেশনে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি শীঘ্রই আইনে পরিবর্তন করা হবে। আর নতুন এই বিধিগুলির সংযোজন করা হবে।”
এছাড়া এও বলেন যে, “রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান ভূপেন কুমার বোরাহ যদি চিঠি দিয়ে আবেদন জানান, তাহলে গোটা আসামে গোরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে প্রস্তুত আছেন।” উল্লেখ্য, আসামে গোমাংস নিষিদ্ধ না হলেও, আসাম গবাদিপশু সংরক্ষণ আইন (আসাম ক্যাটল প্রিজারভেশন অ্যাক্ট) ২০২১ অনুযায়ী, হিন্দু, শিখ বা জৈন অধ্যুষিত এলাকায় গো-হত্যা ও গোমাংস বিক্রি নিষিদ্ধ। এছাড়া মন্দির বা ধর্মীয় স্থানের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেও গোমাংস বিক্রি করা যেত না।
এবার পুরো রাজ্যে জনসমক্ষে গোরুর মাংস বিক্রি করা যাবে না। পাশাপাশি হোটেল বা রেস্তোরাঁয় অথবা কোনো অনুষ্ঠান বাড়িতে গোরুর মাংস খাওয়া যাবে না। এদিকে, আসামের বিধানসভার বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) প্রস্তাবিত এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধীতা করে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘বিজেপি দলীয় রাজ্য সরকার রাজ্যের উন্নতির বিষয়ক যেসব প্রতিশ্রুতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিয়েছিল, সেসব পূরণে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।”