রায়া দাসঃ কলকাতাঃ ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) নিয়োগ মামলার তদন্তে বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। কলকাতার পাটুলি সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জমি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবার ওই তালিকায় রয়েছে বীরভূমের বোলপুর, হাওড়ার বাগনান ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিষ্ণুপুরের জমিও রয়েছে। এদিন এই বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির পরিমাণ চোদ্দ কোটি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হলেও তাঁর নিজের নামে নয়। এই সম্পত্তির মধ্যে শুধুমাত্র বোলপুরেই পাঁচটি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যার বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা। জমি ছাড়াও একাধিক সংস্থার কাছ থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। যা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেই মনে করা হচ্ছে। নিয়োগ মামলার তদন্তের প্রথমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বোলপুরে ‘অপা’ নামে একটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনো সম্পত্তি সরাসরি নিজের নামে রাখেননি। সব নথিতেই কোনো না কোনো ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে।
নিয়োগ মামলার তদন্তে নেমে ২০২২ সালে ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল। আর তিনি সেই থেকে বন্দি। সেই সময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাট থেকে ২২ কোটির বেশী এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ২৭ কোটির বেশী টাকা সহ বিদেশি মুদ্রা ও গহনাও উদ্ধার হয়েছিল। যা সব মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি ছিল। যা আদতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি। এখনো অবধি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মোট ১৩৫ কোটি টাকার নগদ সহ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
আর রাজ্যে প্রাথমিক, নবম-দশম শ্রেণী, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মোট ৩৬৫.৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এদিকে, প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে চিঠি পাঠিয়েছে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, ‘তাঁর মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা করা হোক। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরীর খারাপ, পা ফুলেছে এবং পরীক্ষা করে জানানো হোক হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন রয়েছে কি না।’