নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বাঁকুড়াঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃৃণমূল নেতৃত্ব ভুয়ো ভোটার খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু এবার বাঁকুড়া শহরের উনিশ নম্বর ওয়ার্ডের গরাই পাড়ার ১৭২ নম্বর বুথেই তিন জন ভুয়ো ভোটার ও পনেরো জনেরও বেশী মৃত ভোটারের খোঁজ মিলল।
জানা গেছে, এদিন বাঁকুড়া পুরসভার উনিশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজিজুল রহমান ভোটার তালিকা হাতে নিজের এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন। এরপর ওই ওয়ার্ডের গরাই পাড়ার ১৭২ নম্বর বুথে সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে গিয়ে আজিজুল রহমান দেখেন, তালিকায় এমন তিন জন ভোটারের নাম রয়েছে যাদের বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। এলাকার কোনো মানুষই তাদের কোনো খোঁজ দিতে পারেননি। এমনকি, তালিকায় এমন পনেরো জন ভোটারের নাম রয়ে গিয়েছে, যাদের কারোর তিন বছর আগে তো কারোর আবার দু’বছর আগে মৃত্যু হয়েছে।

- Sponsored -
অভিযোগ ওঠে যে, “ভোটারের মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা নিয়ম মেনে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে অজ্ঞাত কারণে সেই নামগুলি বাদ দেওয়া হয়নি।” বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার এই ঘটনা জানার পর এলাকায় যান। আর এলাকায় গিয়ে ভুয়ো ভোটারদের ব্যাপারে খোঁজ খবর চালান। কিন্তু শেষ অবধি ওই ভোটারদের কোনো অস্তিত্ব না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানোর কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, আজিজুল রহমান জানান, “শহরের বুকে একটি বুথেই এত সংখ্যক ভুয়ো ভোটার ভাবতেই পারছি না। এদের সংখ্যাটা কয়েকগুণ। এই ঘটনার দায় পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের।” পাল্টা বিজেপি এই ঘটনায় শাসকদলের উপর দায় চাপান। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাশিস দত্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্য সরকারী কর্মচারীরাই ভোটার তালিকা সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের কাজ করেন। তাই এমন ভুয়ো ভোটার তালিকায় থেকে গেলে তার সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকারেরই।”