অনুপ চট্টোপাধ্যায়ঃ কলকাতাঃ আজ নবম থেকে দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকাভুক্ত এসএলএসটি চাকরীপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ ১০০০ দিন পার করলো। যা আজও অব্যাহত। এদিন রাসমণি পাত্র নামে এক জন মহিলা চাকরীপ্রার্থী এই ধর্নামঞ্চে মাথা মুড়িয়ে প্রতিবাদ জানালেন। এরপর প্ল্যাকার্ড হাতে কান্নায় ভেঙে গিয়ে শাসকদল ও বিরোধীদের কাছে আবেদন করেন, ‘‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আপনারা সবাই আমাদের সমস্যার সমাধান করুন। কেউ শুনতে পাচ্ছেন? আমাদের চাকরী দিন।’’
চাকরীপ্রার্থীদের মূলত অভিযোগ, ‘‘যোগ্য চাকরীপ্রার্থীরা চাকরী পাচ্ছেন না। অযোগ্যরা চাকরী করছেন। আর আইনের জট কাটানোর ক্ষমতা কেবলমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রয়েছে।’’ আবার অনেক চাকরীপ্রার্থী জানান, ‘‘আর কি কি ভাবে প্রতিবাদ করলে আমরা চাকরী পাব!’’ আবার অনেকে বলেন, ‘‘এখন আমরা মাথার চুল দিলাম। এবার চাকরীর দাবীতে জীবনও দেব। তখন হয়তো এই সরকার চাকরী দেবে!’’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএলএসটির নম্বরভিত্তিক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি। আর সামনের সারির মেধাবীদের বঞ্চিত করে পিছনের সারির প্রার্থীদের এসএমএসের মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে ২৯ দিন ওই চাকরিপ্রার্থীরা অনশন করেছিলেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সাথে দেখা করে চাকরীর প্রতিশ্রুতি দিলেও চাকরী না পাওয়ায় আবার অনশনে বসেন।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘‘ধর্নায় থাকা চাকরীপ্রার্থীদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালত যা যা নির্দেশ দিচ্ছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হচ্ছে।’’ এদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় চাকরীপ্রার্থীদের এই ধর্না তথা প্রতিবাদ নিয়ে জানিয়েছেন, ‘‘নাটক চলছে।’’ অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘এই রাজ্যে দুঃশাসন, কুশাসন চলছে।’’