নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মালদাঃ মালদা বরাবরই আমের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু এবার এই আমের জেলা মালদায় কমলালেবু চাষ করে চমকে দিলেন পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের মশানভাসা গ্রামের কৃষক দীপক রাজবংশী। জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা গাছের কমলালেবু মিষ্টত্ব ও স্বাদে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুকে টেক্কা দিলেও আকারে কিছুটা ছোটো হওয়ায় দীপক সন্তুষ্ট নন।
দীর্ঘদিন ধরেই দীপক নিজের জমিতে ধান থেকে শুরু করে আলু, পটল এবং অন্য আনাজের প্রথাগত চাষবাস করে আসছেন। যার মাধ্যমে সংসার চলে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। তাই নিজের দশ কাঠা জমিতে মোসাম্বি, লঙ্গন, অ্যাভোগাড্রো ও ড্রাগন ফ্রুট চাষ শুরু করেছেন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
পাশাপাশি প্রায় চার বছর আগে নদীয়ার রানাঘাটের একটি নার্সারী থেকে দশটি কমলালেবু গাছের চারা এনে বুনেছিলেন। পরিচর্যা করলেও একটি গাছ মরে যায়। তিনি জানান, ‘‘প্রথম থেকেই এই চাষে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে ভার্মি, গোবর, কম্পোস্ট, নিম-খইলের মিশ্রণ ব্যবহার করার পাশাপাশি নিজের হাতে পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা লঙ্কা, কাঁচা হলুদ, নিম পাতা, তুলসী পাতা, অ্যালোভেরা পাতা, দারুচিনির গুঁড়ো ইত্যাদি দিয়ে তৈরী করা ভেষজ কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
বাণিজ্যিক ভাবে এখনই বিক্রি শুরু না করলেও প্রায় এক কুইন্টাল কমলালেবু ইতিমধ্যে জেলার পাইকারী বাজারে বিক্রি হয়েছে। যার দাম গড়ে প্রতি কেজি ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকা।’’ জেলার ম্যাঙ্গো মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘জেলায় কমলালেবু চাষ খুবই ভালো উদ্যোগ। এই চাষ অন্য চাষীদের বিকল্প চাষের দিশা দেখাবে। উদ্যানপালন দপ্তর কমলালেবু চাষের প্রসারে আশা করি উদ্যোগী হবে।’’
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
অন্যদিকে, জেলার উদ্যানপালন আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেছেন, ‘‘কমলালেবু গাছগুলি পরিদর্শন করেছি। কমলালেবুর আকার বড়ো করার জন্য কৃষককে কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নতুন অর্থবর্ষে কিছু চাষীকে কমলালেবু চাষে উৎসাহিত করে কিছু কিছু এলাকায় কমলালেবু চাষের প্রসারে কিছু ডেমোনস্ট্রেশন প্লট করতে চাই।’’