ব্যুরো নিউজঃ আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই প্রায় সমগ্র বিশ্ববাসী বছরের ব্লাড মুন দেখতে চলেছে। ২৬ শে মে বিশ্ববাসী এই ব্লাড মুন দেখতে পাবে। ব্লাড মুন ১৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী থাকবে।
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পশ্চিম আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর সহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু এলাকার লোকজন ব্লাড মুনের অপূর্ব দৃশ্য দেখতে পেলেও ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। তাই ওয়েবসাইট, টিভি চ্যানেল এবং ইউটিউব চ্যানেলে এই অপরূপ ব্লাড মুন দেখা যাবে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereযখন সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একটি সরলরেখায় চলে আসে তখন পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই সময় পৃথিবী সূর্য এবং চাঁদের মাঝখানে চলে আসে।
চাঁদের উপর সূর্যের আলো সরাসরি পড়তে পারে না। প্রতিসরণের ফলে আলো চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়ে। এর ফলে চাঁদকে রক্তের মতো রক্তিম দেখায়। একে বলা হয় ব্লাড মুন।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপ্রসঙ্গত, ব্লাড মুনকে অনেকে অশুভ বলে মানেন। অনেকের কাছেই এটা একটা অন্ধ বিশ্বাস। প্রাচীনকালে ইনকা সভ্যতার মানুষ বিশ্বাস করতেন, চিতাবাঘের আক্রমণে চাঁদ জখম হওয়ায় চাঁদের রং লাল বর্ণ হয়ে যায়। হুপা ও তদুপরি উপজাতির লোকেরা বিশ্বাস করতেন যে, রক্তাক্ত চাঁদ দেখা যাওয়ার মানে চাঁদ কোনো ভাবে জখম হয়েছে। কিন্তু এই ব্লাড মুনের অপরূপ সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগী মহাকাশপ্রেমীরা।