রায়া দাসঃ কলকাতাঃ মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে আজ সকাল থেকেই আর জি কর হাসপাতাল চত্বর অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। যতো সময় এগিয়েছে, ততো বিক্ষোভ, প্রতিবাদ বেড়েছে। আর বিকেলবেলা তা আরো চরমে পৌঁছায়। তখন বহিরাগত একদল আন্দোলনকারী আর জি কর হাসপাতালে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিতেই ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ ‘বহিরাগত’ আন্দোলনকারীদের আরজি করের ভিতরে প্রবেশ আটকাতে সমর্থ হন পুলিশকর্মীরা। পরে ফের একদফা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়।
জানা গিয়েছে, অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে শনিবার বিকেলে আর জি কর হাসপাতালের কাছে পৌঁছে যান একাধিক বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা। স্টুডেন্টস হেল্থ হোমের চিকিৎসকেরাও ওই একই সময়ে পৌঁছে যান আরজি করের সামনে। তাঁদের মধ্যে আরজি করের প্রাক্তনীরাও রয়েছেন। তাঁরা ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করতেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশ যখন ব্যারিকেড করে বহিরাগতদের আটকানোর চেষ্টা করে, তখন আরজি করের ভিতর থেকেও অবস্থানরত চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একাংশ এগিয়ে আসে।
বহিরাগতদের প্রবেশে আপত্তি জানান তাঁরা। আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, তাঁরা এই আন্দোলনে কোনও রাজনীতির রং লাগতে দেবেন না। যদি কেউ আন্দোলনে শামিল হতে চান, সে ক্ষেত্রে রাজনীতির রং নিয়ে নয়, সাধারণ নাগরিক হিসাবে যেন প্রত্যেকে শামিল হন আন্দোলনে। বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের বিরুদ্ধে স্লোগানও ভেসে আসে আরজি করের ভিতর থেকে। অপর পক্ষে আরজি করের বাইরে বিক্ষোভকারীদের দাবী, ‘‘তৃণমূল এই আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক শিবির। হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখান থেকে পিছু হটবে না।’’
এমত পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীরা দ্বিতীয় দফায় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও শনিবার বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে একাধিক বার প্রশ্ন করা হলেও উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল।