চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার কেউই লকডাউনের পক্ষে নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী জানানো হয়েছে যে, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে দেশজুড়ে টানা লকডাউন জারি না হলেও রাজ্যগুলিতে কনটেনমেন্ট জোন গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দুটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। আর সেই দুটির মধ্যে যে কোনো একটি শর্ত পূরণ হলেই রাজ্য সরকারকে সেই জেলায় কনটেনমেন্ট জোন গড়ে পরিস্থিতির সামাল দিতে হবে। আর কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে সেখানে লকডাউন লাগু করতে হবে। এই শর্তের মধ্যে বাংলায় দু’টি জেলা পড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যে শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৮৯ জন। যেখানে কলকাতায় ৩ হাজার ৭৭৯ জন ও উত্তর ২৪ পরগনার ৩ হাজার ১৪০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

- Sponsored -
ফলে আগামী দিনে রাজ্যের কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতে লকডাউনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সব অঞ্চলে করোনা সংক্রমণের হার খুব বেশি সেগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে। যাতে সেই এলাকাগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার আর না বাড়তে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে জেলা, শহর এবং অঞ্চলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দু’টি শর্তের কথা বলা হয়েছে। একটি হলো যদি এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা পরীক্ষায় ১০ শতাংশ বা তার বেশি মানুষ সংক্রমিত হন তাহলে কনটেনমেন্ট জোন জারি করতে হবে। অপরটি হল যদি হাসপাতালগুলিতে ৬০ শতাংশের বেশী রোগী অক্সিজেন সাপোর্টে কিংবা আইসিইউয়ে চিকিত্সাধীন থাকেন তাহলে কনটেনমেন্ট জোন জারি করতে হবে।
এই দুই শর্তের মধ্যে যে কোনো একটি পূরণ হলেই সেই জেলায় কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছে কেন্দ্র। এছাড়া স্থানীয় কনটেনমেন্ট জোনের কথা ভাবতে হবে। আর যে সমস্ত অঞ্চলে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে সেখানে দু’সপ্তাহের জন্য কড়া নজরদারি চালাতে হবে। ওই সব অঞ্চলে একসাথে বহু সংখ্যক মানুষের জমায়েতের ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
তবে নবান্ন সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, এখনই বাংলায় কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় করোনার পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে চলে হলে সেখানে কনটেনমেন্ট জোন করা হতে পারে। আর যদি রাজ্য সরকার এই দুই জেলা কনটেনমেন্ট জোন গড়েই করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চায় তাহলে লকডাউন হবে না।
তাই এখন কেবল অপেক্ষা করা যেতে পারে পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয় তা দেখার জন্য।