নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জলপাইগুড়িঃ বুধবার সকাল থেকে জলপাইগুড়িতে ইডি অভিযান নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ বা জেলা প্রশাসনের কাছে জেলার কোনো প্রান্তেই এমন অভিযান হয়েছে বলে খবর নেই। জেলা প্রশাসনের এক জন আধিকারিক জানান, “এক এক বার এক এক রকম অভিযানের কথা শোনা গিয়েছিল। তবে দিনের শেষে কোনোটিরই সত্যতা মেলেনি। পুলিশের সঙ্গেও আমরা তথ্য যাচাই করেছি।”
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereএদিন প্রথমে শোনা যায়, ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি ব্লকে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু পরে শোনা যায়, ধূপগুড়িতে নয়, ইডি ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা নিয়ে ডুয়ার্সে অভিযান চালিয়েছে। এর আগেও ডুয়ার্সে একাধিক বার অভিযান চালিয়েছে। কয়েকটি রিসর্টও ইডির দখলে রয়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereপ্রসঙ্গত, এবার ইডি একশো দিনের কাজের অনিয়মের তদন্তে সক্রিয় হয়েছে। আর ওই তদন্তেই জলপাইগুড়ি জেলায় এসেছে বলে খবর চাউর হয়। এমনকি পুলিশ এবং প্রশাসনের মধ্যেও ওই খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত, এর আগে ইডি জলপাইগুড়ির যে যে ব্লকগুলিতে একশো দিনের কাজের তদন্তে এসেছিল, সেই ব্লকগুলিতে একেবারে নড়েচড়ে বসে। তবে রাত অবধি ইডি অভিযানের কোনো খবর নেই।
Sponsored Ads
Display Your Ads Hereউল্লেখ্য, সদ্য ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সম্পত্তির খোঁজে ইডি জলপাইগুড়িতে এসেছে বলে দাবী করা হয়। জানা গেছে, হেমন্ত সোরেনের এক জন আত্মীয়ের কিছু জমি এবং রিসর্ট রানীনগর এলাকায় রয়েছে। যার খোঁজে এর আগেও ইডি তল্লাশি চালিয়ে গিয়েছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ইডির তরফ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এমন কোনো খবরও নেই।” জলপাইগুড়ি সদর, রাজগঞ্জ ও ক্রান্তি ব্লকের কয়েকটি কাজ নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। যদিও প্রশাসনের দাবী, “অনিয়ম মেলেনি, প্রশাসনের পাঠানো রিপোর্টেও কেন্দ্রীয় দল সন্তুষ্ট হয়েছে।”