মিনাক্ষী দাসঃ কালোজাম গ্রীষ্মকালের একটি জনপ্রিয় ফল। এমনিতেই জাম বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। আর কালোজামে ভিটামিন এ, সি, ই ছাড়াও ওমেগা ও ফ্যাটি অ্যাসিড আছে।
বাইরে বের হলে চারিদিকের দূষণ আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। অল্প বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায়। ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। আর এইসব সমস্যা দূর করতে কালোজাম ভীষণ কার্যকরী।
এখন কালোজামের কিছু উপকারীতা নিয়ে আলোচনা করা যাক
১) কালোজামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে দিয়ে ত্বকে ঔজ্জ্বল্যতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
২) কালোজামের মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চামড়ায় বলিরেখা পড়তে দেয় না।
৩) কালোজামের মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ত্বকে উজ্জ্বলতার পাশাপাশি মসৃণ ও নরম করে তোলে।
৪) নিয়মিত কালোজাম খেলে ত্বক হাইড্রেট থাকে। রোদে পোড়া ত্বকের কালো ছাপ দূর হয়।
৫) এর সাথে সাথে বর্তমান দিনে কালোজাম প্রচুর ন্যাচরাল প্রোডাক্টে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ফেসওয়াশ, ফেসপ্যাক, ক্রিম এবং ময়েশ্চারাইজার এসব তৈরী করা হয়।
আবার অনেকেই কালোজামের সাথে লঙ্কা মিশিয়ে বেশ সুস্বাদু করে কালোজামকে মুখরোচক বানিয়ে খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এই পদ্ধতিতে কালোজাম খেলে কালোজামের উপকার একেবারেই পাওয়া যাবে না। তাই কালোজাম এমনি খাওয়া উচিত। তবে পরিমাণমাফিক নুন ব্যবহার করা যতে পারে।
অবশ্য বলে রাখা ভালো কালোজাম হার্ট সুস্থ রাখে, দাঁত ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, অ্যালসার প্রতিরোধ করে ও বহুমূত্র সহ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।