চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ ‘খলিস্তানি’ থেকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ কোনো আরোপ থেকেই বাদ পড়েননি আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু এতসবের পরেও বিজেপি, কংগ্রেস ও শিরোমণি অকালি দলকে পেছনে ফেলে আপ সরকার দিল্লির বাইরে ভিন রাজ্যে পা ফেলেছে।
বরাবর কংগ্রেস এবং শিরোমণি অকালি দলের শক্ত ঘাঁটি পাঞ্জাব। তবু সবাইকে টক্কর দিয়ে বুথ ফেরত সমীক্ষায় অরবিন্দ কেজরীবালের আপ সরকার এগিয়ে ছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরীবালের লড়াইয়ের শুরু। এরপর ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ১১৭ টি আসনের মধ্যে ২০ টি পায়।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি ছিল প্রত্যেক পরিবারের অন্তত একজন করে সদস্য সরকারী চাকরী পাবেন। তবে চার বছর পর ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির’ তথ্য বলছে, ২০২১ সালের শেষে পাঞ্জাবে ৭.৮৫ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
তারপর কৃষক আন্দোলনে উত্তপ্ত পাঞ্জাবে সরকার বিরোধীতা ক্রমশ চওড়া হচ্ছিল। একদিকে শাসক কংগ্রেসের ছন্নছাড়া দশা, অন্য দিকে বেকারত্ব এবং কৃষক বিদ্রোহ এই সব বিষয়গুলিকে একত্রিত করে অরবিন্দ কেজরীবাল দিল্লি মডেলে প্রচার শুরু করেছিলেন। যেখানে প্রচারের মূল বিষয় ছিল বেকারত্ব, মাদক সমস্যা ও দুর্নীতিমুক্ত সরকার।
Sponsored Ads
Display Your Ads Here
আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, অরবিন্দ কেজরীবালের প্রচার কংগ্রেস এবং অকালি দলের ‘বিকল্প’ হিসেবে পাঞ্জাববাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এতেই অভিনেতা ও কৌতুক শিল্পী ভগবন্ত মান অরবিন্দ কেজ্রীবালের মুখে হাসি ফুটিয়ে প্রায় ৩২ হাজার ভোটে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে চলেছেন।