চয়ন রায়ঃ কলকাতাঃ অবশেষে ঘরের ছেলেকে ঘরেই ফিরতে হলো। মুকুল রায় বিজেপিতে যাওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে দলে ফিরিয়ে নিলেও গদ্দারদের দলে ফেরানো হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানান। নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে এই বার্তা ছুঁড়ে দিলেন।
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলত্যাগীদের বরাবরই ‘গদ্দার’ বলে চিহ্নিত করেন। এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর শাসকদলকে অসম্মানজনক ভাষায় তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ ও অসন্তুষ্ট তা এদিনের মন্তব্যেই পুরোপুরি প্রকাশ পায়।
একদিকে যেমন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে নিয়ে প্রকাশ্যে কখনোই কোনো কটূক্তি করেননি অপরদিকে ঠিক তেমনই মুকুল রায়ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনোই কটাক্ষের সুরে আক্রমণ করেননি। তাই স্বাভাবিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে স্বাদরেই স্বাগত জানালেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন মুকুল রায় নিজের শিবির পাল্টে অন্য শিবিরে গিয়েছিলেন।২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে দাঁড়িয়ে জয়ীও হয়েছেন। কিন্তু বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর সম্পূর্ণ চিত্রটাই পরিবর্তন হয়ে গেলো। আবারও মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে নতুন পথচলা শুরু করলেন। তবে মুকুল রায়কে কোন পদ দেওয়া হবে এখনো তা জানা যায়নি। সেটা দলীয় আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এছাড়া ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকে রাজ্যে যে দলবদলের হিড়িক পড়ে গেছে তা দেখেই আজ স্পষ্ট ভাষায় দলত্যাগীদের দলে ফেরা নিয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দিলেন। তাছাড়া তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৪ এ দিল্লি জয়। আর রাজ্য রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়কে তৃণমূলে ফিরিয়ে নেওয়ার তারই একটি ইঙ্গিত।