প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে না পেয়ে তার স্ত্রী-পুত্রের উপর চলল বেধম মারধর

Share

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মেদিনীপুরঃ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের এক নম্বর ব্লকের প্রাক্তন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর নায়েক চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা তুলে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সেই টাকা ফেরতের দাবীতে শিবশঙ্করবাবুর স্ত্রী-পুত্রকে গাছে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

দীপক মাইতি নামে এক জন যুবকের জানান, ‘‘ভাইকে গ্রুপ ডি পদে চাকরী করে দেওয়ার জন্য আট লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। এরপর ২০১৭ সালে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার সময় শিবশঙ্করবাবু চাপে পড়ে দুই লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো বাকি ছয় লক্ষ টাকা পাওয়া যায়নি। ফোন করলে খুনের হুমকি দেন। বাড়িতে এলে কুকুর লেলিয়ে দেন।’’


এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের কোটবাড় গ্রামের বাসিন্দা শিবশঙ্করবাবু এলাকার অনেকের থেকে চাকরী দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। এদিন তার খোঁজে এক দল চাকরীপ্রার্থী বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরতের দাবী করেন। তবে শিবশঙ্করবাবুর সন্ধান না পাওয়ায় শিবশঙ্করবাবু ছেলে ও স্ত্রীকে মারধর করেন। ছেলেকে গাছেও বেঁধে রাখা হয়।


বাড়ির জানালার কাচও ভাঙচুর করা হয়। তার স্ত্রী মলিনা নায়েক বর্তমানে ভগবানপুর এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। মলিনা দেবী বলেন, ‘‘যারা বাড়িতে এসেছে তাদের সকলকে চিনলেও এই টাকার বিষয়ে কিছু জানা নেই। অথচ যারা এসেছেন তাদের চা খাইয়ে আতিথেয়তা করা হয়েছে।’’ বিক্ষোভকারীদের তরফে ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।


পুলিশ পলাতক শিবশঙ্করবাবুর সন্ধান শুরু করেছেন। এদিকে মলিনা দেবীও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছেন। এই ঘটনার জেরে সমগ্র এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস জানান, ‘‘চাকরীর টোপ দিয়ে কেউ টাকা তুললে সেটা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।

এছাড়া যার বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘ দিন তিনি দলের সাথে যোগাযোগ রাখেন না। তারপরও যেভাবে অভিযোগ উঠেছে তাতে প্রাক্তন ওই বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষকে দল থেকে পাকাপাকি ভাবে বহিষ্কার করা নিয়ে দলীয় স্তরে আলোচনা চলছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কারোর অভিযোগ থাকলে তাহলে তারা আইনের পথে হাঁটুন। এর সাথে তৃণমূল দলের কোনো সংযোগ নেই।’’

Share this article

Facebook
Twitter X
WhatsApp
Telegram
 
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031