নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হুগলীঃ আজ সকালবেলা বিচারাধীন বন্দি টোটন বিশ্বাসকে হুগলীর চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য জরুরী বিভাগে আনা হলে তাকে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
টোটনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। সে জরুরী বিভাগে যেতেই দুষ্কৃতীরা টোটনকে নিশানা করে গুলি চালালে টোটনের পেটে একটি গুলি লাগে। এই ঘটনার পরই হাসপাতালে আসা রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। দুষ্কৃতীরা সেই সুযোগে পালিয়ে যায়।
এরপর তাকে দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিন জন দুষ্কৃতী টোটনের জন্য ব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে অপেক্ষা করছিল। আজ যে টোটনকে আদালতে তোলা হবে সেই খবর হামলাকারীদের কাছে ছিল। ইতিমধ্যে পুলিশী তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।
এছাড়া এও জানা গিয়েছে যে, সে হুগলী জেলার কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের মধ্যে অন্যতম। টোটনের অনেক বিরোধী পক্ষও রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে টোটনের উপর হামলার পিছনে আরো এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাসের হাত রয়েছে। বিশালের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে টোটনের দাদা তারক বিশ্বাসকে খুন করার অভিযোগও রয়েছে।
এছাড়াও হুগলীর আরো দুই জন কুখ্যাত দুষ্কৃতী নেপু গিরি এবং রমেশ মাহাতোর সঙ্গেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। যদিও নেপু ও রমেশ বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছে।